শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে সান্তাহার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল

মমতাজুর রহমান:[২] দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কয়েক দফায় কাজ করে অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে সান্তাহার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানের কাজ। বর্তমানে হাসপাতালটি চালু করার অপেক্ষায়।

[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে সান্তাহার শহরের রথবাড়ি এলাকায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়। নির্মান কাজ শুরু করার জন্য সে সময়ের ঠিকাদার নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য সেডও নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু কাজ শুরুর পুর্বে সরকারের পতন হয়।

[৪] অতএব পর এরশাদ সরকারের আমলে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতাল থাকার অজুহাতে সান্তাহারের এই হাসপাতাল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ সালে প্রায় চার কোটি টাকার দরপত্রে নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন।

[৫] নির্মাণ কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিদায় লগ্নে “রাজনৈতিক ভাবে” শুধুই হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। কাগজে-কলমে হাসপাতালটি চালু দেখানো হয়।

[৬] এদিকে, কাজের ঠিকাদার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে হবার কারনে ব্যায় করার চেয়ে বেশী পরিমান (প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা) বিল তুলে নেয়। এমন অবস্থায় ফকরুদ্দিন-ময়নুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, আগের সরকারের সময়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা কাজের চেয়ে বেশী দেওয়া বিলের টাকার সমপরিমান (৭৬ লাখ) কাজ নিজ দায়ীত্বে করে দিতে বাধ্য হয়।

[৭] এরপরও অসমাপ্ত অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে হাসপাতাল। এক সময় মাদক বিক্রি ও সেবনের নিরাপদ আখড়া হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও খদ্দেররা। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আমলে ২০২০ সালের শেষে ফের দরপত্র আহবান করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ।

[৮] প্রায় তিন কোটি টাকার চুক্তি মুল্যে নির্মান কাজ শুরু হয়। ইতি মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার ফারুক হোসেন। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় হাসপাতালটি চালু করার জন্য যোগাযোগ করা হয়।

[৯] এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বগুড়া বিভাগের দায়িত্ব পালনকারি সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিকাদারের নিকট থেকে হাসপাতালের দায়িত্ব বুঝে নেয়া হবে।

[১০] কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন গওসুল আজম চৌধুরি বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য জনবল এবং অপারেশন থিয়েটারের সামগ্রী ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী’র চাহিদা পত্র স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। এসব মিললেই বহু প্রতিক্ষিত হাসপাতালটি চালু হবে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়