ইমরুল শাহেদ: এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এমন কথাই শোনালেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। সালমান শাহ ছবিটিতে কিভাবে অন্তর্ভুক্ত হলেন তার প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন, ‘প্রযোজক সুকুমার রঞ্জন দা (পরে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন)-সহ বেশ কয়েকবার কয়েকজন চিত্রনাট্য লেখকের সঙ্গে বসেছি। কারো গল্পই মন মতো হলো না। তাহলে কি করা য়ায়? তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন কপিরাই্ট ছবি নির্মাণ করবেন।
তিনি মুম্বাই থেকে ছয়টি ছবির কপিরাইট নিয়ে এলেন। তার মধ্যে ‘কেয়ামত ছে কেয়ামত তক’ একটি। কিন্তু কোনটি বানানো হবে সেটাও আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এক জোড়া নতুন মুখ যে নেব সে বিষয়ে আমরা একমত হলাম। তখন আমি খুব ব্যস্ত ছিলাম।’ সে অনুসারে মৌসুমীকে চুক্তিবদ্ধ করার পর সোহান খুঁজতে শুরু করলেন নায়ক। এই পরিস্থিতিতেই সুকুমার রঞ্জনের কাছে একজন একটি ছবি পাঠালেন। পরে তার কাছ থেকে সালমানদের বাসার ফোন নাম্বার নেওয়া হয়।
সোহান বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো আমি যখন তাদের বাসায় ফোন দিলাম তখন ফোন রিসিভ করলো একটি পুরুষ কন্ঠ। তিনি বললেন ভাইয়া বাসায় নেই। কখন বা কত রাতে ফিরবেন সেটাও বলা যাচ্ছে না। আমি কিছুটা হতাশ হলাম। দিন কয়েক পর প্রয়াত নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুসহ আমি একটি ম্যাকডোনাল্ডে গেলাম। সেটি এখন আর নেই। হঠাৎ কি মনে করে সেখান থেকে ফোন দিতেই সেই রিসিভ করলো। পরিচয় দিয়ে প্রয়োজনের কথা বলতেই সে বললো আপনারা ওখানেই থাকেন। আমি বিশ তিরিশ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাব। সে এলো দশ থেকে পনের মিনিটের মধ্যেই। রেস্তোরাঁটিতে সিসিক্যামেরা ছিল। সে যখন রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে সিসিক্যামেরায় দেখেই বুঝে গেলাম আমি নায়ক পেয়ে গেছি।’
তিনি যখন তার কাছে জানতে চাইলেন, সে সিনেমায় অভিনয় করবে কিনা। সে সোজা জবাব দিল, ‘বাবাতো নেই। আপনাকে আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ সোহান বলেন, ‘চলো তোমার মায়ের সঙ্গেই কথা। আমি বাবু ভাইকে বিদায় দিয়ে সালমানকে নিয়ে রিক্সায় উঠলাম। যেতে যেতেই আমি ছয়টি ছবির কপিরাইটের কথা তাকে বললাম। সে আমাকে বললো কেয়ামত ছে কেয়ামত তক ছবিটি সে ২৮ বার দেখেছে। সেটি হলে ভালো হয়। তার কথা অনুসারে আমরা সেই ছবিটি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।’