স্পোর্টস ডেস্ক: [২] পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আশফাক হোসেন শাহের বিরুদ্ধে।
[৩] আন্তর্জাতিক ফুটবলের শাসক সংস্থা (ফিফা) মনোনীত নরমালাইজেশন কমিটির (এনসি) প্রধানের কাজ থেকে জোর করে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ায় নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে দেশটির ফুটবল।
[৪] পিএফএফের এনসি’র চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হারুন মালিক। তিনি দাবি করেন, শনিবার (২৭ মার্চ) সাবেক সভাপতি তার কাছ থেকে ফেডারেশনের ব্যাংক আকাউন্টের কাগজ বুঝে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি অফিসে ছিলাম। এই সময় বেশ কয়েকজন প্রবেশ করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন আশফাক হোসেন শাহ। জোর করে আমার কাছ থেকে সব ব্যাংকের তথ্যগুলো নিয়ে নেন।
[৫] আলজাজিরাকে হারুন মালিক আরও বলেন, রুমের গেট বন্ধ করে তারা বাজে আচরণ করতে থাকে। যাতে আমি তাদের সব বুঝিয়ে দেই। পাশাপাশি নির্বাচন না দেয়ার জন্যও আমাকে বলতে থাকে। আমি তাদের বলেছি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়াই আমার কাজ। তবে তা নিয়মতান্ত্রিকভাবে। ফেডারেশনের কর্মরত এক মুখপাত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা স্টাফদের মারধরের পর আটক করে রাখে।
[৬] ২০১৮ সালে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের দেখানো রূপরেখায় নির্বাচনে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হন আশফাক হোসেন শাহ। যদিও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ফিফা ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) তাকে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে মেনে নেয়নি।
[৭] পরের বছর হামজা খানকে চেয়ারের দায়িত্ব দিয়ে নরমালাইজেশন কমিটি গঠন করে ফিফা। মূল দায়িত্ব ছিল ফেডারেশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের পাশাপাশি দেশটিতে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা।
[৮] ২০২০ সালের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন হামজা খান। তারপরই দায়িত্ব দেয়া হয় হারুন মালিককে। ২০১৫ সালে ফুটবলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে ফিফার নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। শনিবারের ঘটনার পর আবারও নিষিদ্ধ করা হতে পারে দেশটিকে। - আলজাজিরা/ আরটিভি
আপনার মতামত লিখুন :