তৌহিদুর রহমান : [২] পূর্বাঞ্চল রেলপথে চলাচলকারী সকল ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে চলাচলকারী ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে।
[৩] শনিবার সকালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
[৪] জেলার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ জানান, 'পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রাখা হবে। তবে মেইল ট্রেনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়নি। যারা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তাদেরকে টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
[৫] এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন মাদ্রাসাছাত্ররা। বিকেল ৪টার দিকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এরপর তারা অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ৭ ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বিকেল ৫টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়িতে হামলা চালান বিক্ষুব্ধরা। তারা পাথর নিক্ষেপ করেন ফাঁড়িতে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ