দেবদুলাল মুন্না: [২] বৃহস্পতিবার এটি প্রকাশ করেছে ভার্চুয়াল দুনিয়ার জেনোসাইড মিউজিয়াম। প্রচ্ছদের ম্যাপে গাঢ় লাল রঙের পিন দিয়ে গণহত্যার স্থান, কালো রঙের পিন দিয়ে বধ্যভূমি, লাল রঙের পিন দিয়ে গণকবর, খয়েরি রঙের পিন দিয়ে নির্যাতনকেন্দ্র ও সবুজ রঙের পিন দিয়ে স্মৃতিফলক চিহ্নিত করা হয়েছে।
[৩] সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি জেলার ৮৩৪টি স্মৃতিচিহ্ন চিহ্নিত করে ম্যাপটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’।
[৪] ডিজিবংলা জানায়, অত্যাধুনিক জিপিএসের (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সহায়তায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে নিখুঁতভাবে একাত্তরের স্মৃতিচিহ্নগুলো বিস্তারিত বিবরণসহ তুলে ধরা হয়েছে ইন্টার-অ্যাকটিভ ম্যাপে।
[৫] এ পর্যন্ত সম্পন্ন ২৮ জেলার জরিপে ১১ হাজার ৩৫৬টি গণহত্যার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন মিলেছে দুই হাজার ৪৯৮টি। এর মধ্যে মিলেছে ৮৪৬টি গণকবর, ৬৫৪টি বধ্যভূমি, ৯৯৮টি নির্যাতনকেন্দ্র। এই স্মৃতিচিহ্নগুলোতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে ৪৭টি। এগুলোকে ডিজিটাল মানচিত্রে যুক্ত করতে এরই মধ্যে ২৮টি জেলার জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি জেলায় জরিপকাজ চলছে।