কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] তিস্তা জল না গড়ালেও গুরুত্ব পাচ্ছে অভিন্ন ছয় নদীর পানি বন্টন।
[৩] পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতকে প্রেসারে রেখেছি, অমীমাংসিত বিষয়গুলো তুলতে চায় না ভারত।
[৪] চূড়ান্ত সমঝোতাগুলো হলো- সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ব্যাপারে সহযোগিতা, পরিবেশগত সুরক্ষায় সহযোগিতা এবং উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা।
[৫] সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসহ আরও দুটি এমওইউ সই করার বিষয়ে কাজ চলছে।
[৬] বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক ও বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[৭] বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।
[৮] ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করা হতে পারে।
[৯] কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হবে।
[১০] বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার পর তার একটা আনুষ্ঠানিকতা থাকবে।
[১১] স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পালন উপলক্ষ্যে ১৮ দেশে যৌথভাবে কর্মসূচি উদযাপন করবে বাংলাদেশ ও ভারত। এ ১৮ দেশের নাম ঘোষণা করা হবে।
[১২] ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। এরপর তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
[১৩] একই দিন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসাবে বক্তব্য প্রদান করবেন।
[১৪] টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করবেন মোদি।
[১৫] ২৭ মার্চ বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ।
[১৬] মোদী আসছেন, এতেই আমরা অনেক খুশি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবারের সফর হবে শুধুই উদযাপনের।
[১৭] করোনা মহামারীর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এটাই হবে প্রথম বিদেশ সফর। ভারতের সঙ্গে আমাদের অন্যান্য সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই দূর করেছি। অন্যান্যগুলোও সমাধান হবে।
[১৮] ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, তিস্তা চুক্তি সই করার বিষয়ে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুত। এটা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় নয়। রাজ্য সরকারের ম্যান্ডেট পেলে অবশ্যই এটি কার্যকর হবে।