রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের সব রাজ্্েয ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট’ প্রটোকল মানে পরীক্ষা ও সংক্রমিতদের খুঁজে বের করে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একগুচ্ছ নতুন গাইডলাইন জারি করে ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] স্থানীয়, জেলা, উপজেলা, ও শহর বা ওয়ার্ড স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী ট্রেন যাতায়াত, বিমান যাত্রা, মেট্রো রেল, স্কুল, উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, বিনোদন পার্ক, যোগা কেন্দ্র ও জিমনেশিয়াম, প্রদর্শনা, জমায়েত হয় এমন স্থানগুলোয় ব্যাপক কোভিড প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে।
[৪] ভারতের এক রাজ্যের ভিতরে নানা জায়গায় ও এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে লোকজন ও পণ্য পরিবহনে বা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে চুক্তির আওতায় সীমান্ত দিয়ে মালপত্র আনানেওয়ায় বিধিনিষেধ থাকবে না। নতুন কোভিড গাইডলাইন চালু থাকবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
[৫] আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইটের ওপর স্থগিতাদেশ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে করেছে ভারত। তবে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্সের মতো ২৭টি দেশের সঙ্গে ‘বন্দে ভারত মিশন’ এবং নির্ধারিত ফ্লাইটের অধীনে যে ‘ট্রাভেল বাবল’ সৃষ্টি করেছে ভারত তা অব্যাহত থাকবে। এর অধীনে সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে বৈধ যাত্রীরা ভারতে আসতে ও ভারত থেকে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
[৬] ৪৫ বছর বয়সের বেশি বয়স্কদের সবাইকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১ এপ্রিল থেকে। কোভিড টিকাদান কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়ে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী কোমর্বিডিটির রোগীদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল।
[৭] ভারতে দিনে কোভিড ভাইরাসের সংক্রমণ ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা কিছুদিনের মধ্যেই তা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এপর্যন্ত ভারতে দে ৪ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ কোভিড টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮০ লাখকে। মোট ৩০ কোটিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির সরকারের।