জাহেদ ঠাকুর: করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে এক ভয়ংকর বিপদের ভেতর ফেলে দিয়েছে- এই সত্যটা বাংলাদেশে বসে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না মোটামুটি তিনটে কারণে: [ক] করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার এদেশে অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম, অথচ অনেকেই বলেছিলেন যে এদেশে লাশ দাফন করার মানুষ পাওয়া যাবে না।
[খ] করোনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা ছিলো তা হয়নি, বলা হয়েছিলো যে, লোক না খেয়ে মারা যাবে, দুর্ভিক্ষ হবে, ইত্যাদি।
[গ] ২০২১ সালেও যেখানে পশ্চিমা অনেক দেশই এখনও পর্যন্ত করোনার টীকার ব্যবস্থা করতে পারেনি সেখানে বাংলাদেশের মতো দেশ টিকা কেবল জোগাড়ই করেনি অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে ৪৫ লাখ মানুষকে ইতোমধ্যে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে। উপরের তিনটি কারণের মধ্যে প্রথমটির জন্য আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই কিন্তু পরবর্তী দু’টি কারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ না জানালে আমরা আসলে মূল সত্যকেই অস্বীকার করবো। আর তৃতীয়টি অর্থাৎ টীকার জন্য বিশেষ ভাবে বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোকে ধন্যবাদ না জানালে আমরা আসলেই অকৃতজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত হবো। যে মানুষটি এর পেছনে খেঁটেছেন, যার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অতি দ্রুত করোনার টীকা এদেশে এসেছে সেই সায়ান রহমানকে একটি ধন্যবাদ জানানোর তাগিদ থেকেই এই স্ট্যাটাস। আমরা ভাগ্যবান যে, আল্লাহ্ আমাদের করোনা থেকে রক্ষা করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা থেকে অর্থনীতি রক্ষায় একাধিক প্যাকেজ দিয়েছেন এবং বেক্সিমকোর মত প্রতিষ্ঠান টীকা এনে ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, সকল সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করে।