শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২১, ০৫:২১ সকাল
আপডেট : ০৭ মার্চ, ২০২১, ০৫:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মদ উদ্ধারের পর বিক্রি, পুলিশের দুই কর্মকর্তা ক্লোজড

ডেস্ক রিপোর্ট: সুনামগঞ্জে ভারতীয় মদ উদ্ধার করে জব্দ তালিকায় না উঠিয়ে বিক্রি করে দেওয়ায় দোয়ারাবাজার থানার দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ মার্চ) তাদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। ক্লোজড হওয়া দুজন হলেন-এসআই নোবেল সরকার ও এসআই অপূর্ব কুমার সাহা। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দোয়ারাবাজার থানার বাংলাবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন দোয়ারাবাজার থানার এসআই নোবেল সরকার ও অপূর্ব কুমার সাহা।

অভিযানকালে বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাউড়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মনির হোসেন এবং উত্তর কলাউড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মো. আলামিন মিয়াকে ৪ কার্টন অফিসার চয়েসসহ আটক করেন তারা। পরে এক কার্টন অফিসার চয়েস জব্দ দেখিয়ে এই দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন এসআই নোবেল সরকার। অন্য তিন কার্টন অফিসার চয়েস তানিয়েল নামে তাদের পরিচিত বাংলাবাজারের এক তরুণের কাছে বিক্রি করে দেন তারা।

গত ২ মার্চ ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক শামীম আখঞ্জি তানিয়েলের ভাই তানভিরের বাংলাবাজারের দোকান থেকে তিন কার্টন অফিসার চয়েস উদ্ধার করেন। এ সময় তানভির এই অফিসার চয়েস দোয়ারাবাজার থানার এসআই নোবেল ও অপূর্ব রেখে গেছেন বলে জানায়।

বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানলে সরেজমিনে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান। প্রাথমিকভাবে তিনি বিষয়টির সত্যতা পান। পরে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দুই এসআইকে পুলিশ লাইন্স সুনামগঞ্জে সংযুক্ত করার জন্য দোয়ারা বাজার থানা ও পুলিশ লাইন্স সুনামগঞ্জের আর আইকে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের এই নির্দেশে শুক্রবার এই দুই এসআইকে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।

দোয়ারা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির আলম জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে সঠিকভাবে জব্দ তালিকা না করায় দুই এসআইকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করার পুলিশ সুপারের নির্দেশের চিঠি বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি পেয়েছেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সুপার মো মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়