শিরোনাম
◈ ‘নতুন আরপিওতে বড় পরিবর্তন: পলাতক অযোগ্য, দুর্নীতির প্রমাণে ভোট বাতিল করতে পারবে ইসি’ (ভিডিও) ◈ বিএনপির প্রস্তাব বিবেচনায় নিলে আসন্ন নির্বাচন হবে মাইলফলক: মঈন খান ◈ বিচারকরা সরকারি পদে থাকতে চাইলেও পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা সংবিধান অনুযায়ী ◈ ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে পরবর্তী আপিল শুনানি ◈ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল ◈ অলিখিত ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ◈ জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের তারিখ জানা যাবে ১৩ নভেম্বর ◈ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: তদন্তে ‘শেষবারের মতো’ ছয় মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট ◈ বর্জ্য নয়, রফতানি পণ্য: মাছের আঁশে স্বপ্ন দেখছে দেশীয় উদ্যোক্তারা ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতা, চাপে অন্তর্বর্তী সরকার

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০২১, ০৪:৩৯ সকাল
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০২১, ০৪:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরাকে ঐতিহাসিক সফরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো পোপের সফর। এই ঐতিহাসিক সফরে শুক্রবার ইরাকে পৌঁছেছেন পোপ ফ্রান্সিস। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটি পোপ ফ্রান্সিসেরও প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সফর।

সফরে ইরাকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করবেন পোপ। এছাড়া ইরাকের প্রধান শিয়া মুসলিম নেতার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আন্ত-ধর্মীয় সংলাপ এগিয়ে নিতেও প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি।

ইরাকের উত্তরে অবস্থিত ইরবিল শহরের এক স্টেডিয়ামে গণ জমায়েতে অংশ নেবেন পোপ ফ্রান্সিস। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যকে পোপের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে কারফিউ।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি বিমানবন্দরে পোপকে অভিবাদন জানান। বিমানে পোপ বলেন, আবারও ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতীকী সফর এবং এই ভূমির প্রতি এটি কর্তব্য যে ভূমি অনেক বছর ধরে শহীদ হয়েছে।’

সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর গত দুই দশকে ইরাকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা কমতে কমতে ১৪ লাখ থেকে আড়াই লাখে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ খ্রিষ্টান।

ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার সময় সহিংসতা এড়াতে সেখানকার অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অন্য দেশে পালিয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট ইরাকের উত্তরাঞ্চল দখল করলে সেসময় আরেকটি বড় সংখ্যক খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী ইরাক ত্যাগ করে। আইএস সেখানে খ্রিস্টানদের গির্জা ধ্বংস করে ও সম্পদ দখল করে। তাদের শর্ত দেয়া হয়- কর দিতে হবে অথবা ধর্মান্তরিত হতে হবে, নয়তো মৃত্যু মেনে নিতে হবে।

পোপের সফরের মূল উদ্দেশ্য ইরাকে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া খ্রিস্টানদের সাহস যোগানো। এছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাবেন।

২০১৪ সালে আইএস বাহিনী ইরাকের নিনেভেহ অঞ্চল দখল করার পর সেখানকার যেসব খ্রিস্টান কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তারা এই সফরকে সামনে রেখে পোপের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়