মনিরুজ্জামান: [২] এ বছর আবহাওয়া অনুকূল ও রোগবালাই কম থাকায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন বেশি ফলনে কৃষকও খুশি। তবে বিক্রি করতে গিয়ে হতাশ তারা। পাইকারি বাজারে দাম কম। অথচ খুচরা বাজারে আলুর দাম বেশি। তাদের আক্ষেপ ভোলা-রবিশাল সেতু হলে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পেতেন।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি। অথচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা কেজিতে।
[৪] আলু চাষীরা বলছেন, সড়ক পথে যোগাযোগের অসুবিদায় অন্য জেলার পাইকাররা আসছে না। এলাকার পাইকাররা সিন্ডিকেট করে দাম কম বলছে।
[৫] বৃহস্পতিবার কুতুবা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে কয়েকটি সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে কয়েকজন কৃষক বলেন, ফসল ফলাই আমরা আর লাভবান হয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা।
[৬] তারা বলেন, ইরি ধানের মৌসুম চলছে। সার, পানি, চাষ ও চারাসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রয়োজন হয়। এসব উপকরণের জোগান দিতে সব কৃষকই আলু বাজারে নিয়ে আসছেন। এতে কৃষক বাজার মূল্য কম পাচ্ছেন।
[৭] উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রনি বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলুর আবাদ ও বাম্পার ফলন হয়েছে।
[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, চলতি বছর রোগবালাই কম থাকা এবং বাংলাদেশ কৃষি গভেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি আলু ৯১ জাত (ক্যারোলাস) চাষ করায় আবাদ বেশি ও ফলন ভালো হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি