রাশিদ রিয়াজ : জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থার উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ সরকার হুররিয়াত কনফারেন্সের একাংশের চেয়ারম্যান মীরওয়াইজ ওমর ফারুককে মুক্তি দিয়েছে। গত ১৯ মাস গৃহবন্দী থাকার পরে গত বুধবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশ, মঙ্গলবারেই কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক বলেন, তাকে এখনও মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে তিনি এটা জেনে খুশি যে, তিনি এখন মুক্ত।
অন্যদিকে, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি প্রধান মেহেবুবা মুফতি হুররিয়াত প্রধান মীরওয়াইজ ওমর ফারুকের মুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় মেহেবুবা বলেন, মীরওয়াইজের মুক্তির সংবাদ শুনে খুশি হয়েছি। আমি আশা করি যে জম্মু-কাশ্মীরে ও বাইরের কারাগারে থাকা কয়েকশো কাশ্মীরি পুরুষকেও শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসার সময় এসেছে।
এর আগে গতবছর নভেম্বরে আঞ্জুমান-এ-ওয়াকফ জামিয়া মসজিদ ও সৈয়দ আহমদ নকশবন্দী কাশ্মীরের বিশিষ্ট আলেম মীরওয়াইজ ওমর ফারুককে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য জামিয়া মসজিদের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার কাছে দাবি জানিয়েছিলেন।
ইমাম-এ-হাই নামে পরিচিত সৈয়দ আহমদ নকশবন্দী হুররিয়াত প্রধান মীরওয়াইজ ওমর ফারুকের মুক্তি দাবি করেছিলেন যাতে তিনি নিয়মিত তাঁর ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। তিনি বলেন, মীরওয়াইজ কেবল রাজনীতিবিদই নন, ধর্ম প্রচারকও। তাঁকে এভাবে চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ করা ধর্মীয় বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। ঈদ-এ-মিলাদ উন নবী (সা.) সহ অন্যান্য শুভ দিনগুলোতে, মীরওয়াইজকে জনগণকে সম্বোধন করতে না দিয়ে প্রশাসন হাজার হাজার মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পারসটুডে