আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] সিম কার্ড থেকে বিয়ার, স্কাইডাইভিং থেকে জেড পাথরের খনি, মিয়ানমারের এমন খাত খুব কমই আছে, যেখানে দেশটির সেনাবাহিনীর পা পড়েনি। ১০ বছরের কথিত গণতন্ত্রের বিলোপ করে তাতমাদাও ও জেনারেল মিং অন হ্লাইং একরকম নিজেদের গলায় নিজেরাই ছুড়ি চালিয়েছেন। অতিলোভনীয় ও লাভজনক ব্যবসাগুলো এখন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। আল-জাজিরা
[৩] বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের নির্বাহী পরিচালক অ্যানা রবার্টস বলেন, ‘মিং অং হ্লাইন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে হওয়া একটি গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সম্ভবত ভেবেছিলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যার মতো এটি নিয়েও খুব বেশি কথা বলবে না। কিন্তু তিনি ভুল ছিলেন, যার মূল্য তাকে দিতে হচ্ছে।’ রয়টার্স
[৪] ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত পশ্চিমারা অং সান সুচিকে গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি ঘোষণা দিয়ে সামরিক শাসকদের চাপে রেখেছিল। এসময় দেশটিতে খুব বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হয়নি। সামরিক নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন গণতন্ত্রের মতো পরিবেশ তৈরি করতে পারলে েিদশি বিনিয়োগ আসবেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আদতে অভিনয় ছিলো।
[৫] গণতন্ত্র জাতীয় জিনিসটি আসতেই, ধনী দেশগুলোর বহুজাতিক কোম্পানি মিয়ানমারের বাজারে ঢুকে পড়ে। সেনাদের তত্ত্বাবধানে জাতীয় অর্থনীতি তদারককারী সংস্থা গড়ে উছে। সেনা মালিকানায় শত শত স্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছিলো সে সময়ই।