আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] রক কনসার্টের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, বললেন কিংবদন্তী গীতিকার গ্রেম থম্পসন।
[৩] গত ৫০ বছরের মধ্যে কনসার্ট ফর বাংলাদেশকেই রক ঘরানার শ্রেষ্ঠতম আয়োজন বলে মনে করেন থম্পসন। ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের সেদিনের সন্ধ্যার স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
[৪]এরিক ক্ল্যাপটন কেবল লন্ডন থেকে ফিরেছেন। হেরোইন তাকে শেষ করে দিয়েছে। নিউ ইয়র্কে এসেই তিনি হেরোইনের চাহিদায় কাঁপছেন। কেউ একজন গেছে, তার জন্য নেশার সামগ্রী জোগাড় করতে। দীর্ঘদিন গান না গাওয়া বব ডিলান প্রচণ্ড নার্ভাস হয়ে আছেন। এমনকি তিনি স্টেজ থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে সমসাময়িক সঙ্গীত মহারথীরা সবাই এক ছাদের তলায় এক হলেন। তারা গাইলেন সদ্য জন্ম নেওয়ার প্রসব বেদনায় ভুগছে এমন এক দেশ বাংলাদেশের জন্য। জন্ম নিলো কনসার্টের নতুন এক ইতিহাসের। জিকিউ ম্যাগাজিন ।
[৪] সবাই জানতেন নিজ জায়গায় শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তিদের এক ছাদের তলায় আনলে সমস্যা হবে। এই সমস্যা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। তিনি পরে থম্পসনকে বলেন, ‘শো এর আগের রাতে আমাকে চতুরতার আশ্রয় নিতে হয়েছিলো। আমরা শোয়ের জায়গাটায় যাই। এরিকের অবস্থা ভালো ছিলো না। ডিলান পালানোর পরিকল্পনা করছিলো। বব আমাকে বলে, আমার মনে হয়না, আমি এটা করতে পারবো। নিউ জার্সিতে করার মতো অনেক কাজ পড়ে আছে আমার। আমি তাকে বলি, আমাকে এসব বলবে না। আমি সবসময়ই একটা ব্যান্ডে ছিলাম। আমি জানি একসঙ্গে গান গাওয়া সহজ নয়। তবে, তুমি কঠিন কাজটি করবে। বাংলাদেশের যে মানুষগুলো না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, তাদের জন্য গাইবে। আমার কথায় কাজ হয়। সেদিন বব নিজের জন্য ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড গায়নি। বাংলাদেশ নামে এক অচেনা দেশের অচেনা মানুষদের জন্য গেয়েছে।’ সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব