শিরোনাম
◈ অগ্রণী ব‌্যাং‌কের ভ‌ল্টে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার  ◈ ভারতে মুসলিম ছাত্রদের মূর্তির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে আর মাথা নোয়াতে বাধ্য করলো হিন্দু চরমপন্থীরা  ◈ ২০ ইউনিটের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কড়াইল বস্তির ভয়াবহ আগুন ◈ দেড় দশক ঘরছাড়া, তবুও দেশ ছাড়িনি: জামায়াত আমির ◈ বাংলাদেশ ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে—ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ড. ইউনূস ◈ গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রকাশ: জাতীয় সনদের সংস্কার প্রশ্নে ভোট দেবেন জনগণ ◈ কড়াইল বস্তিতে দাউদাউ আগুন: পাইপ কাটা ও পানির সংকটে ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জ ◈ বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ‌টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ৩০ ন‌ভেম্বর আসছে পাকিস্তান নারী দল  ◈ চুপ থাকুন, আপনাকেও আসামি করা হতে পারে, ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে চিফ প্রসিকিউটর ◈ শাহজালালে কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা নাশকতা নয়: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০২:৫৩ রাত
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০২:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কঠোর সাধনার মাধ্যমে রবের দিকে এগিয়ে যাওয়া

ইসলামি ডেস্ক: আল্লাহর অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো মানুষ। মানুষের গোলামি-দাসত্ব করার জন্যই আল্লাহ অন্যসব মাখলুক সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহর দাসত্ব-ইবাদতের জন্য। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়াবুদুন। আর আমি মানুষ এবং জিন সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদত করার জন্য।’ সুরা জারিয়াত আয়াত ৫৬।

আমরা আল্লাহর ইবাদত করব আর আমাদের গোলামি করবে পুরো বিশ্ব। সুফিরা বলেন, ‘ফাল্লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল। যে পেল রব, সে পেল সব।’ অর্থাৎ আপনি যদি কোনোভাবে রবকে খুশি করতে পারেন, রবের সন্তোষ যদি কোনোভাবে আপনার ভাগ্যে জুটে যায় তবে দুনিয়া-আখিরাত সবকিছু আপনার পায়ে লুটিয়ে পড়বে।

বিশ্বকবি আল্লামা রুমি বলেন, ‘রবের সঙ্গে এমন ভাব জমাও যেন তিনি তোমাকে জিজ্ঞেস করেন- বান্দা বল তোমার ভাগ্যলিপি কীভাবে লিখব?’ এ বিশ্বসংসারের যিনি স্বামী-মালিক তাঁর সঙ্গে যদি আমাদের প্রেম হয় তবে আমাদের দুনিয়া-আখিরাতের জীবন শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠবে। তাই তো তাসাউফবিজ্ঞানের সাধকরা বলেন, প্রভুকে পাওয়ার সাধনা কর। তাঁকে পেলেই সব পাওয়া হবে। প্রভুকে পাওয়া সহজ নয়। এটা দীর্ঘ সাধনার ব্যাপার। আল্লাহ নিজেই বলছেন, ‘ইয়া আইয়ুহাল ইনসান! ইন্নাকা কাদিহুন ইলা রাব্বিকা কাদহান ফামুলাকিহ।

হে মানুষ! কঠোর সাধনার মাধ্যমে তুমি তোমার রবের দিকে এগিয়ে যাও। সাধনার একপর্যায়ে তাঁর সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ ঘটবে। মিলন হবে। কেউ যখন প্রভুকে পাওয়ার সাধনা করে তখন একপর্যায়ে তার হƒদয় গলে প্রেম আলো বেরিয়ে আসে। আফসোস! আজ আমরা দুনিয়ার পেছনে ছুটছি কেবল ছুটছি। ছুটতে ছুটতে নিজেকেও ভুলে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছি অন্য কোথাও। যেখানে আমি নেই। আমার ভিতর যে ‘অন্য আমি’ লুকিয়ে আছে সেও নেই।

আমাদের এ ছুটে চলা দেখে প্রভুর বড় মায়া হয়। তাই তো তিনি দরদভরা কণ্ঠে ডাক দিয়ে বলেন, ‘ফা আইনা তাজহাবুন। বান্দা আমার! তোমরা কোথায় ছুটছ?’ ‘ইয়া আইয়্যুহাল ইনসানু মা গররকা বিরাব্বিকাল কারিম। ওরে আমার আদরের বান্দা! আমার মতো প্রেমময় রবকে ছেড়ে তোমরা কীসে ডুবে আছ? এমন কী আছে যা পেয়ে তোমরা আমাকে ভুলে থাকতে পার? কিচ্ছু নেই।’ ‘ওয়া সারিউ ইলা মাগফিরাতিম মির রাব্বিহ। বান্দা! তোমার রবের ক্ষমার দিকে দৌড়ে আসে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

লেখক :মুফাস্‌সিরে কোরআন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়