ইসমাঈল ইমু : [২] মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর ১শ’ সদস্যের (৩০ জন ডাক্তার এবং ৭০ জন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট) একটি বিশেষায়িত মেডিক্যাল টিম দেশে ফিরেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত মেডিকেল টিমের সদস্যরা দীর্ঘ ১০ মাস কুয়েতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।
[৩] কুয়েত সরকারের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জরুরী ভিত্তিতে এই বিশেষায়িত মেডিকেল টিম গতবছর ১০ ও ১২ এপ্রিল দেশটিতে প্রেরণ করেন। কুয়েতে অবস্থানকালীন এই মেডিকেল টিমটি সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ৭ হাজার কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সরাসরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
[৪] কুয়েতের আমীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ দেশটির জনসাধারণ বিশেষায়িত এই মেডিকেল টিমের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কুয়েতে থাকাকালীন বিশেষায়িত মেডিকেল টিমটি প্রধানত কুয়েতের সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল (কুয়েত ফিল্ড হাসপাতাল, মিশরেফ), অন্যান্য ফিল্ড হাসপাতাল (ফারওয়ানিয়া, মাহবুলা ও জিলিব আল সোয়াইথ হাসপাতাল) এবং সামরিক হাসপাতালের বিভিন্ন কোভিড আই সি ইউ, মেডিসিন ওয়ার্ড, ইমারজেন্সি ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারসমুহে চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত ছিল। এর পাশাপাশি বিশেষায়িত এই টিম
[৫] কুয়েতে মোতায়েনরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। দায়িত্ব পালনকালে টিমের ১৪ জন সদস্য করোনা রোগে আক্রান্ত হন ও পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে পুনরায় চিকিৎসা সেবায় যোগদান করেন। সেনাবাহিনী ১৯৯১ সাল হতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত কুয়েতের পুনর্গঠনের জন্য দুইটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট নিয়ে কুয়েতে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সর্বমোট ১১ টি কন্টিনজেন্টের ৫ হাজার ২৫৪ জন সদস্য কুয়েত পুনর্গঠনের কাজে সেখানে মোতায়েন রয়েছে।