নুর উদ্দিন মুরাদ,কোম্পানীগঞ্জ: [২] নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও ওসি তদন্তের প্রত্যাহার এবং কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা (সন্ত্রাসী) ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
[৩] মঙ্গলবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি থানা ঘেরাও করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বসুরহাট বাজারে লাগাতার হরতাল ঘোষনা করেন।
[৪] জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা (সন্ত্রাসী) ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকের বাজারে তার কিছু অনুসারীদের নিয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে তিনি মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অশালীন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসী ফখরুল ইসলাম সবুজকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাকে (সবুজ) পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে এমন খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা নিজেই থানা ঘেরাও করে থানার ফটক অবরোধ করে রেখেছেন।
[৫] আবদুল কাদের মির্জার দাবি, দায়িত্বে অবহেলার জন্য নোয়াখালীর ডিসি খুরশেদ আলম খান, এসপি মো. আলমগীর, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত মো. রবিউল হকের প্রত্যাহার ও কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা (সন্ত্রাসী) ফখরুল ইসলাম সবুজ কেগ্রেফতার করার জন্য ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বসুরহাট বাজারে হরতাল এবং লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট চলবে বলে জানান তারা। এ রিপোর্ট লেখা (রাত সাড়ে ১০টা ৩০) পর্যন্ত অবরোধ চলছে এবং বসুরহাট বাজারের বিভিন্ন সড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :