শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুশফিক ওয়াদুদ: বাংলাদেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগের যে ঠাণ্ডা লড়াই সেখানে দেশের প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলো একটি পক্ষ

মুশফিক ওয়াদুদ : সম্পাদকর সাহেবরা বলছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ভয়ে লিখতে পারছেন না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ভয় সাংবাদিকদের যেমন দেশের ১৮ কোটি জনগণের তার চেয়ে কম না। বরং বেশি। সাংবাদিকদের একধরনের নিরাপত্তা আছে, অন্তত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা থেকে একটি বিবৃতি আসে, অন্য পেশার ক্ষেত্রে সেটাও আসে না। আমরা বেশ কিছু কিশোর কে ফেসবুক পোস্টের কারণে  ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেফতার হতে দেখেছি।

পরিসংখ্যান জানা নেই। তবে আমার এটা ধারণা যে দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যতোগুলো মামলা হয়েছে তার বেশির ভাগই সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠিত পত্রিকাগুলোর ঢাকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হাতে গোনা (একটি সম্ভবত)। সাধারণ মানুষের এই ঝুঁকি  সত্ত্বেও দেশে নাগরিক সাংবাদিকতা থেমে নেই। বরং কিছু ক্ষেত্রে প্রচলিত সাংবাদিকতার চেয়ে তাঁরাই বেশি পাবলিক র্সাসের কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন দুটি বড় উদাহরণ যেখানে নাগরিক সাংবাদিকরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ভয় কে উপেক্ষা করে পাবলিক র্সাস সাংবাদিকতা করেছেন।

অন্তত গুমের ক্ষেত্রে দেশের সাংবাদিকতা বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখতে পারতো অথবা উচিত ছিল এবং তেমনটি হলে গুম গুলোকে ঠেকানো সম্ভব ছিল বলে আমি মনে করি। মনে করার কারণ হলো যে অল্প কয়েক টি গুমের ঘটনা নিয়ে প্রধান  সংবাদ মাধ্যম গুলো সরব ছিল অথবা সরব হতে বাধ্য হয়েছে সে সকল গুমের ভিকটিমরা  আসলে ফিরে এসেছেন। অথবা এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে অন্তত দেশের সংবাদ মাধ্যম সরব  হতে পারতো কিন্তু সাধারণ মানুষ এই আইনের মাধ্যমে হয়রানি হলে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোকে আমরা খুব বেশি সরব হতে দেখিনি।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ভয়ের চেয়ে বড় কথা হলো  বাংলাদেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগের যে ঠাণ্ডা লড়াই সেখানে দেশের প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলো একটি পক্ষ। বিএনপির সাথে ইসলামিস্টরা থাকার কারণে বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না। ফলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পড়তে পারে এমন সাংবাদিকতা তাঁরা নিজের ইচ্ছাতেই করতে চান না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়