স্পোর্টস ডেস্ক: [২] ম্যাচের শেষ দিকে গাম্বিয়ার স্ট্রাইকার পা ওমর জোবে সুযোগ পেয়েই বল লক্ষ্যভেদ করে উল্লাসে মেতেছিলেন। কিন্তু তার উল্লাস নিমিষেই থেমে যায় রেফারি জালাল উদ্দিনের অপ্রত্যাশিত এক বাঁশিতে। ‘ফাউলের’ অভিযোগে যে গোলটিই বাতিল করে দেন রেফারি! আর তাতে বসুন্ধরার বিপক্ষে জেতা হলো না শেখ জামালের। প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রয়ে।
[৩] বসুন্ধরা কিংস ৮ ম্যাচে প্রথম ড্রতে ২২ পয়েন্টে শীর্ষেই আছে। বিপরীতে শেখ জামাল এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় ড্রতে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় অবস্থানে আছে।
[৪] বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার গাম্বিয়ার সলোমন কিংকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল শেখ জামাল। আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ার কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তাই তো কিছুটা খর্ব শক্তির দল নিয়ে বসুন্ধরার বিপক্ষে রক্ষণ জমাট করে খেলতে হয়েছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দলকে।
[৫] বিপরীতে শুরু থেকে আক্রমণ শাণিয়ে খেলেছে বসুন্ধরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূরত্ব থেকে বুলেট গতির শট নিয়েছিলেন ফেরনান্দেজ। ভাগ্য ভালো যে তা প্রতিহত করেন গোলকিপার জিয়া। ২৬ মিনিটে ফেরনান্দেজের আরও একটি জোরালো শট গোলকিপার রুখে দেন। ৩০ মিনিটে থ্রো-ইন থেকে তপু বর্মণ মাথা ছোঁয়াতে পারলে এগিয়ে যেতে পারতো অস্কার ব্রুজনের দল। তা অবশ্য হয়নি।
[৬] বিরতির পরও বসুন্ধরার আক্রমণ অব্যাহত থাকে। ৫০ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় তারা। সতীর্থের থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে রাউল বেসেরা টোকা দেওয়ার আগেই ছুটে এসে তালুবন্দী করেন জিয়া।
[৭] অবশেষে ৮৮ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পায় শেখ জামাল। জাহিদ হোসেনের থ্রু থেকে ওমর জোবে ডিফেন্ডার তপু বর্মণকে টপকে প্লেসিং করে জাল কাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তপু বর্মণকে ফাউলের অভিযোগে রেফারি জালাল উদ্দিন গোলটি বাতিল করে সবাইকে অবাক করে দেন! টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে কোনও ফাউল হয়নি। এ নিয়ে খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কানে তোলেননি। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে।