ইসমাঈল ইমু: [২] সোমবার প্রকাশিত দুদকের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯’-এ বলা হয়েছে, আইনের নির্দেশনা অনুসারে দুদক প্রতিবছর সরকারি পরিষেবায় বিদ্যমান হয়রানি, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে খাতভিত্তিক সুপারিশ করে থাকে। অন্য বছরের মতো দুদক এ বছরও স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ করেছে।
[৩] দুর্নীতির উৎস হিসেবে ১১ বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওষুধ শিল্পের জন্য পাঁচটি, সড়কে যানবাহন ব্যবস্থাপনা খাতে পাঁচটি, নকল, ভেজাল ও নিষিদ্ধ পণ্য ঠেকাতে দুটি, নিষিদ্ধ পলিথিনের আগ্রাসন ঠেকাতে একটি এবং নদী দখল ঠেকাতে একটি সুপারিশ করা হয়েছে।
[৪] ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবার জন্য একটি সুপারিশ করা হলেও এ খাতের দুর্বলতার বিষয়ে সাতটি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ডিজিটালাইজ ও আধুনিকায়নের জন্য ১০টি এবং এর সুবিধা সংক্রান্ত ছয়টি দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৫] ইটভাটা স্থাপন সংক্রান্ত একটি, দীর্ঘমেয়াদি নৈতিকতার বিকাশে বিএনসিসি কার্যক্রমের জন্য একটি, সরকারি পরিষেবায় মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিরোধে তিনটি সুপারিশ করা হয়। ওয়াসায় দুর্নীতি উৎস হিসেবে ১১টি বিষয় চিহ্নিত করে এর প্রতিকারে ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে। আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট সংক্রান্ত পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে।
[৬] বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্নীতির ১০টি উৎস চিহ্নিত করে এর প্রতিকারে ১৫টি সুপারিশ করা হয়েছে। স্থায়ী সিভিল সার্ভিস সংস্কার কমিশনের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে একটি সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেন কমিশন গঠন আবশ্যক, সে বিষয়ে আটটি, কার্যপরিধির ক্ষেত্রে সাতটি, কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে সাতটি, কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে ১০টি, সাংগঠনিক কাঠামোর জন্য পাঁচটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিবিধ বিষয়ে নয়টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে দুদক।