রাশিদুল ইসলাম : [২] গত বছর ভারতে কোভিড মহামারীতে জিঙ্ককোভিট ট্যাবলেট বিক্রি বেড়েছে ৯৩ শতাংশ যা সংখ্যায় ৫৪ কোটি। এর আগের বছর জিঙ্ককোভিট বিক্রি হয়েছিল ২৮ কোটি। ভিটামিন সি ট্যাবলেট বিক্রি বেড়েছে ১১০ শতাংশ, সংখ্যায় ১৮৫ কোটি। যা আগের বছরের তুলনায় ১শ শতাংশ বেশি। অথচ ২০১৯ সালে এধরনের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪ শতাংশের সামান্য বেশি। দি প্রিন্ট
[৩] মাল্টিভিটামিন ও মিনরেলস মোটের ওপর গত বছর ভারতে বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ। এধরনের ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে ৩শ কোটি। আগের বছর ২০১৯ সালে এধরনের ২৪৮ কোটি ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছিল।
[৪] ভারতে এই প্রথমবার ডায়বেটিসের ওষুধের চেয়ে জিঙ্কোভিট ট্যাব বেশি বিক্রি হয়েছে।
[৫] ভিটামিন ডি থ্রি বিকোসুলস নামে মাল্টিভিটামিন যেটি তৈরি করেছে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার তৈরি করেছে, এ ট্যাবলেটটির বিক্রি গত বছর ভারত ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে ২৭ কোটি বিকোসুলস ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছিল। বিকোসুলস প্লাস বিক্রি বেড়েছে গত বছর ৩০ শতাংশ।
[৬] অল ইন্ডিয়া ফার্মাসিস্টের জেনারেল সেক্রেটারি রাজিব সিংহল জানান কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণেই এসব ট্যাবলেট বিক্রি বেড়েছে। মানুষ কোভিডে আক্রান্ত না হতে বা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিরোধ শক্তি ফিরে পেতে এসব ট্যাবলেট খাচ্ছে।
[৭] ইন্ডিয়াল কাউন্সিল অব মেডিকেল রিচার্স এধরনর ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ায় এগুলোর চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে।
[৮] অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ ড. রাশিদ গৌরি বলেন ভারতের মত দেশে পুষ্টির ঘাটতি এমনিতেই বড় আকারেই রয়ে গেছে। এরপর মহামারীতে এধরনের ভিটামিন ও মাল্টিভিটামিনের চাহিদা বৃদ্ধি স্বাভাবিক। তবে এ চাহিদার বিপরীতে এসব ওষুদের যোগান দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আপনার মতামত লিখুন :