মঈন উদ্দীন : [২] যে টমেটো গত বছর জমিতে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। এবার সেই টমেটো চাষিরা বিক্রি করছেন মাত্র ৫ টাকায়।
[৩] ভরা মৌসুমে টমেটো বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিচ্ছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শত শত টমেটো চাষি।
[৪] চাষিদের অভিযোগ, সস, ক্যাচাপ ও অন্যান্য খাদ্য উপজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর কারসাজিতে রাজশাহীর টমেটো চাষিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
[৫] অর্থকরী কৃষিপণ্য হিসাবে টমেটোর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ও চাষিদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা দাবি করে কিছু এগ্রো কোম্পানি নিজেদের অবদান প্রচার করলেও মাঠের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। পানির দামে টমেটো কিনে নিজেদের মুনাফা বাড়াতেই এসব কোম্পানি পরিকল্পিতভাবে টমেটো চাষিদের ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে ভুক্তভোগী একাধিক চাষি অভিযোগ করেছেন।
[৬] কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দেশে উৎপাদিত উন্নত জাতের টমেটোর অর্ধেকই উৎপন্ন হয় গোদাগাড়ীতে। রাজশাহী অঞ্চলে এগ্রো কোম্পানির কয়েকটি কারখানা চালু হওয়ায় গত কয়েক বছরে গোদাগাড়ীতে টমেটোর আবাদ বেড়েছে। কোম্পানিগুলো চাষিদের কাছ থেকে চুক্তি ভিত্তিতে টমেটো কিনে কারখানায় প্রক্রিয়া করে। আমের মৌসুমে এসব কারখানায় পাল্পও তৈরি করা হয়।
[৭] কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে কয়েকটি কোম্পানি এগ্রো কারখানা করায় চাষিরা চুক্তিভিত্তিতে টমেটো বিক্রি করে চাষাবাদের খরচ তুলেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তবে এবার এসব কোম্পানির পরিকল্পিত কারসাজিতে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা।
[৮] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক বিঘা টমেটো আবাদে খরচ হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন আসে ৪০ থেকে ৪৫ মণ।
[৯] ১৮ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলে এই পরিমাণ টমেটো থেকে চাষির ৫০ হাজার টাকার কিছু বেশি টাকা আসে। পরিবহণ ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে চাষির ঘরে ওঠার কথা সাত থেকে আট হাজার টাকা। কিন্তু এবার অনেক চাষি খরচই তুলতে পারছেন না। সম্পাদনা: জেরিন