ডেস্ক নিউজ: দিনভর জলকেলি, খুনসুটি সে সঙ্গে কিচির-মিচির শব্দ, কখনো ঝাঁক বেঁধে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে নীল আকাশে ওড়োউড়ি।
অগণিত পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকেল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমীরা। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অতিথি পাখিদের সুরক্ষা দিতে কাজ করছে তারা।সময় টিভি
শত শত অতিথি পাখির মিলনমেলা। মনের আনন্দে পানিতে দাপাদাপি, সে সঙ্গে চলে দিনভর খুনসুটি, আবার কখনো ডানা মেলে নীল আকাশে ওড়াউড়ি। এভাবেই দিনভর নানা কসরতে মেতে ওঠা, পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখর এখন নওগাঁ শহরের রাজদীঘি জলাশয়।
পানকৌড়ি, বালি হাস, রাঙ্গা ময়ূরী, ছোট স্বরালী পরিযায়ী পাখির এ বিচরণ ক্ষেত্রটি জানুয়ারির পর থেকেই শুরু হয়। শীতপ্রধান এলাকা থেকে আসা এসব অতিথি পাখি অনুকূল পরিবেশ আর প্রয়োজনীয় খাবার নিশ্চিত হওয়ায় আস্তানা গড়ে দীঘিতে ।
গত বছরের চেয়ে এবার বিপুল পরিমাণ পাখির আগমনে তৈরি হয়েছে অন্য এক পরিবেশ। স্থানীয়রা বলছেন, এসব অতিথি পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে তাদের।
কয়েকজন তরুণী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও এখানে অতিথি পাখি দেখতে এসেছি। এখানে আসলে খুবই ভালো লাগে।
পাখির ডানা ঝাপটানো ছাড়া দীঘিতে ফোটা লাল শাপলা মুগ্ধ করছে আগত দর্শনার্থীদের। অনেকেই আবার মোবাইলের ফ্রেমে আটকাতে ব্যস্ত।
এসব অতিথি পাখিদের নিরাপত্তা বিষয়ে নওগাঁ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মির্জা ইমাম বলেন, এখানে অতিথি পাখিদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের খাবারের বিষয়টি মাথা রেখে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাখিপ্রেমীদের মতে, এ দীঘিতে প্রায় ১০ প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে এবার। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এসব পাখি অবস্থান করে।