ইমরুল শাহেদ: একটি অনুষ্ঠানে শাকিব খানের সমালোচনা করে আলোচনায় আসা মডেল ও অভিনেত্রী সেলিনা আফ্রি সম্প্রতি রাসেল আহমেদ পরিচালিত ‘ইস্টিশন’ নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করেছেন। এর আগে তিনি অন্যপথ, নীল ফড়িং নামে দুটি ছবিতে কাজ করেছেন। বিফোর আই ডাই নামে একটি ছবির কাজও তিনি শেষ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এসব বিষয়গুলো কেবল তার মুখ থেকেই বলতে হচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মীরা একমাত্র ইস্টিশন ছবির নামটি ছাড়া আফ্রি অভিনীত আর কোনো ছবির নাম জানেন না। এ ছবিটির নাম জানার কারণ হলো সংবাদ সম্মেলন। কিন্তু মূলধারার একজন নায়িকার ছবির তালিকা তাকে মুখ দিয়ে বলতে হয় না। তার পরিচিতিও তাকে নিজে থেকে তুলে ধরতে হয় না।
তাদের ছবি ও পরিচিত এতোভাবে সবার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে যে, অনায়াসে তা ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। সেলিনা আফ্রি বলে কথা নয়, এমনি অনেক নায়িকাই আসছেন, দৃষ্টির বাইরে থেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অভিনীত ছবিগুলো কোথায় প্রদর্শিত হয়, কারা দেখেন সেটা বোধহয় তারা নিজেরাও বলতে পারেন না। একজন বেশ মাথা উঁচু করেই বলছিলেন, সিনেপ্লেক্সে তার ছবিটি হাউজ ফুল যাচ্ছে।
কিন্তু এই হাউজ ফুলের আসন সংখ্যা কত? মাত্র আড়াইশ’ থেকে তিনশ’। কিন্তু একটি নিয়মিত সিনেমা হলের আসন সংখ্যা ১২শ’ থেকে ১৩শ’। সিনেপ্লেক্সের পাঁচ শোয়ের সমান একটি নিয়মিত সিনেমা হলের এক শো। মৌসুমী, শাবনূর ও পপিরা নিয়মিত সিনেমা হলের তারকা।
একজন শাকিব খানতো অবশ্যই। একটি নিয়মিত সিনেমা হলের একদিনে পাঁচ শো পূর্ণ হলে সিনেপ্লেক্সের কতদিনের এবং কত শোয়ের দরকার হবে, তা সহজেই অনুমেয়। ঢাকায় নির্মিত কুলি ও ভন্ড ছবি দুটি - সপ্তাহের ২৯টি শোয়ের মধ্যে ২৯টি শো-ই পূর্ণ হয়েছে। কুলি ছবির নায়িকা ছিলেন পপি। সেই জন্য তিনি সর্বজন সমাদৃত।
এখনকার কোনো অভিনেত্রীই সিনেপ্লে´ মানসিকতার কারণে সার্বজনীন হতে পারছেন না। সিনেপ্লেক্স অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শন ক্ষেত্র। কিন্তু চলচ্চিত্র ব্যবসায়ের মানদণ্ড নয়। সর্বজনগ্রাহ্য তারকা হওয়ার শ্রম ভিন্ন। একজন শাকিব খান অনেক পরিশ্রমের ফসল। সুতরাং তারকা হিসেবে শাকিব খানকে নিয়ে মন্তব্য করতে হলে নিজের অবস্থানকেও বিবেচনায় রাখতে হবে।