তরিকুল ইসলাম: [২] জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ সদস্য দেশগুলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে সক্রিয় থাকলেও এ নিয়ে পাঁচ দফা চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের দায়ব্ধতার প্রশ্নে সংকটের শুরু থেকেই ভেটো দিয়ে আসছে।
[৩] চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রী ঝাও কেজি তার ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
[৪] বাংলাদেশ ও চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হলেও সেটি আজও হয়নি।
[৫] গত বছরের ১৯মার্চ মিয়ানমার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিতে চেয়েছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সে সময়ও চীন ও রাশিয়া ভেটো দেওয়ায় তা আটকে যায়।
[৬] ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগন্যাটোভ বলেছেন, কোনো প্রস্তাবেই সমর্থন করবেনা রাশিয়া। রোহিঙ্গা সমস্যা সামগ্রিক সমাধানের জন্য যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনও প্রস্তাব করা হয় তা আমরা সমর্থন করবো না।
[৭] আমরা চীনের নীতিতে সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি না, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে। মিয়ানমারকে চাপে রাখলে সমস্যা আরো প্রকট হবে।
[৮] মিয়ানমারকে খুশি রাখাটা চীন-ভারতসহ কিছু দেশের কৌশল, এসব দেশ আমাদেরও ঘনিষ্ঠ সহযোগি বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
[৯] সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা নিপীড়ন বিরোধী প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়ার সমর্থন না পাওয়ায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
[১০] তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিকীকরণের পরিবর্তে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা এবং দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার পক্ষেই অবস্থান চীন ও রাশিয়ার।