অনির্বাণ আরিফ : বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মিশরে স্বৈরশাসক কেন, সিরিয়ার আসাদ কেন ক্ষমতা ছাড়ছে না, ভারতের মোদী সরকার কেন সাম্প্রদায়িক এসবই হলো কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা নিউজের প্রতিদিনের নাস্তা। কিন্তু কাতার রাষ্ট্র কে চালায়, কাতারের ক্ষমতার কেন্দ্র বংশ পরম্পরায় কেন, কাতারে গণতন্ত্র কী জীবিত না মৃত-এ বিষয় নিয়ে কখনো আল-জাজিরা কথা বলছে, বলে, বলবে?
উপমহাদেশের একশ্রেণির পতিত বাম রাজনীতিমনষ্ক চিন্তাবিদ আছেন, যারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা করতে করতে এতোটাই ব্লাইন্ড হয়ে গেছেন যারা তালেবানের মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীকেও সমর্থন করেন, একদলীয় ফ্যাসিবাদী চীনকে ক্ষতিকর মনে করেন না, ইঙ্গো-মার্কিন পক্ষের ব্লেইম দিয়ে স্যাকুলার- অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধিতা করেন।
ভারতের অরুন্ধতী রায় যার কাছে সেক্যুলার ভারত নিপীড়ক কিন্তু একদলীয় ফ্যাসিবাদী চীন মানবিক। বাংলাদেশের ড. ইউনূস, শহীদুল আলম, ডেভিড বার্গমান, খলিল জিব্রান তারা হচ্ছেন সেসব পতিত বাম মনষ্ক চিন্তার লোক যাদের কাছে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চিন্তার শেখ হাসিনা সরকারের চাইতে যেকোনো উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সরকার ক্ষমতায় আসা খারাপ নয়। বাম মনষ্ক চিন্তার এসব লোকগুলো কিন্তু তাদের প্রটেক্টকারী চ্যানেল আল-জাজিরার মতোই চরম দ্বিমুখী। তারা কখনো কেবলা পেন্টাগনের দিকে ঘোরায় তো কখনো আবার বেইজিংয়ের দিকে ঘোরায়।
তারা দিনে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির রোস্ট করে তো রাতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে নাস্তা করে। তারাই বলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গণতন্ত্র নেই আবার তারাই মধ্যপ্রচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশ কাতারের আল-জাজিরাতে গিয়ে নিজকে মহান সুশীল বানায়। আল-জাজিরা এবং উপমহাদেশের পতিত বামচিন্তার সুশীলরা... সহোদর ভাই। এ বিষয়ে আপনাদের কী কোনো কনফিউশান আছে থাকলে মন্তব্যের ঘরে জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে জানান দিন। ফেসবুক থেকে