ডেস্ক রিপোর্ট : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বলেছে তুমি এলাকার বাইরে কারো বিরুদ্ধে কথা বলবে না, নির্বাচন নিয়ে কথা বলবে না। আমি ওনার কথা মেনে নিয়েছি, আমি বলেছি এক মাস দেখবো যদি কোন পরিবর্তন না হয় তখন আমি কথা বলবো।
কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য চট্রগ্রামের মেয়র আমাকে বলেছে অর্বাচীন বালক। আমি চট্রগ্রামের ভোট ডাকাতির কথা বলায় এখন আমি অর্বাচীন বালক। অর্বাচীন বালক মানে হচ্ছে আমি অবুঝ বালক। আপনি নিজেকে ত্যাগী দাবি করেছেন। ৬৪ বছর ধরে রাজনীতি করেন। এই ত্যাগী লোকটা কেন ভোট ডাকাতি করতে গেলেন? এটা আপনার কাছে আমার প্রশ্ন। কেন মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করলেন?
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এসব তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি চট্রগ্রামের নবনির্বচিত মেয়রের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনি এতো বড় নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে আপনার নামও শুনেনি। কথা বলার আগে চিন্তা করে বলবেন। যদি নিজেকে অভিজ্ঞ মনে করেন, ত্যাগী মনে করেন তাহলে ভাষাজ্ঞান রেখে কথা বলবেন। এই অবুঝ বালকটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিগত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট নির্বাচনে কাস্টিং ভোটে ৭৭ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। এটা আপনাকে স্মরণ করে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দকে বলবো । আমাকে কথা বন্ধ করতে বলেন, এরা কিভাবে কথা বলেন, এই সাহস কোথা হতে পায়। তারা বলতে পারবে আমি বলতে পারবে না। আমি এদেশের নাগরিক।
তিনি দলের গঠনতন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, আমার দলের ঘোষণা পত্রে আছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা, ওনারা বলতে পারলে আমি পারবো না কেন?
আমি রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই রক্ত চক্ষু দেখাবেন না, চেষ্টা করবেন না। আজকে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে আমার কোন কথা যাতে মানুষের কাছে না যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এসব করছে আমি তাদের চিনি। একজন পিআরও নাম হচ্ছে আবু নাসের, আরেকজন বিটিভির সাংবাদিক শফিক বাবু। ওনারা দুজন একরাম চৌধুরীর মাসোয়ারা খায়।
আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, আমি মনে করি সাংবাদিকরা দেশ প্রেমিক। তারা সাহস করে সত্য কথা লিখে। আমি তাদের জাতির বিবেক বলি কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য আজকে কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের কর্মকাণ্ড দেখে সাংবাদিকরা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশের জনপ্রিয় চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’এর টু দ্য পয়েন্টে সোমা ইসলামের সাথে যুক্ত হই কিন্তুু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাকে অনুষ্ঠানের মাঝ পথে বের করে দেওয়া হয়েছে। ডিবিসি’র অনুষ্ঠান রাজকাহনে আমাকে যুক্ত করার কথা ছিলো, হঠাৎ করে সকাল বেলায় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বা সংবাদপত্রগুলো কার হাতে বন্দী? কার নির্দেশে চলে? এ অবস্থা কি চলতে দেওয়া যায়? আমি সাংবাদিক ভাইদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই আপনারা যদি বন্দী থাকেন তাহলে সত্য কথাটা কে বলবে? আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বার্তা২৪