রাইসুল ইসলাম: [২] সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক ফলন ও লাভ হওয়ায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছে কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে কৃষকদের স্কোয়াশ চাষে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে উপজেলার চরটেংরাইল ও জামতৈল এলাকায় ২৫ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষের প্রদর্শনী প্লট তৈরি করা হয়েছে।
[৩] চরটেংরাইল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম তালুকদার জানান, আমি ঢাকার একটি কোম্পানীতে চাকুরি করেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে আশানুরুপ বেতন না পাওয়ায় গ্রামের বাড়ীতে এসে আমার ব্যক্তিগত ৮০ শতাংশ জমিতে অন্যান্য ফসলের আবাদ না করে অধিক লাভের আশায় উচ্চ ফলনশীল সবজি রায়লা এফ-১ জাতের স্কোয়াশের আবাদ করি।
[৪] স্কোয়াশ গাছের আয়ুষ্কাল ৮০দিন। আমার জমির গাছগুলোর বয়স হয়েছে ৫৮দিন। ইতিমধ্যে আমি ২হাজার স্কোয়াশ পাইকারীতে বিক্রি করেছি। স্কোয়াশ উৎপাদনের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় আশানুরুপ দাম পাচ্ছি না। আমার জমিতে স্কোয়াশের বেশ ভাল ফলন হয়েছে। আশা করছি আমার জমিতে লাগানো ৪ হাজার ৫০০টি গাছ থেকে ৩৬ হাজার স্কোয়াশ উৎপাদন হবে।
[৫] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, স্কোয়াশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে। স্কোয়াশের পাতা ও কান্ড সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। স্কোয়াশ চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলায় ১শ’ ২০ শতাংশ জমিতে এবছর স্কোয়াশের আবাদ হচ্ছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী