নূর মোহাম্মদ : [২] হাইকোর্ট বলেছেন, পুলিশকে কথা নয় কাজে পটু হতে হবে। কে কোন দলের, কোন মতাদর্শেরে সেটি পুলিশের বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ যেন কারো জন্য ভীতিকর না হয়, তাদের জনগণেল বন্ধু হতে হবে। আপনিতো রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন, যথেষ্ট জ্ঞান আছে। পত্রপত্রিকায় যা দেখলাম তাতে তো কুষ্টিয়ার অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর। এমন কর্মকাণ্ড করবেন না, যেন নাগরিকরা মনে করে দেশ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
[৩] আদালতের নির্দেশে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত হাইকোর্টে হাজির হলে তাকে উদ্দেশ্য করে আদালত এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহাজান আলী ও তার পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন আাদলত। এছাড়া এসপিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে সাময়িকভাবে অব্যহতি দিয়েছেন।
[৪] সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এর আগে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় এসপিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
[৫] এর আগে গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নি:র্শত ক্ষমা চেয়ে আবেদনপত্র দাখিল করেন এসপি তানভীর।আবেদনে তানভীর আরাফাত উল্লেখ করেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরো সতর্ক হবেন। এ ধরনের ভুল আর কখনো হবে না বলেও আবেদনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
[৬] আবেদনে কুষ্টিয়ার এসপি আরো বলেন, বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেওয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।