শাহাদাত হোসেন: [২] জেলার শহীদ জাফর সড়কের জানিপাথর এলাকা থেকে বৃক্ষবানুপুর পর্যন্ত সড়কের দুপাশে সারি সারি আম গাছ। এসময়ে ধুলায় ঢেকে থাকা এসব গাছে এখন হাসছে আমের মুকুল।
[৩] স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে উর্ধমুখি এসব গাছের ঢালপাতা ঢেকে যায় রাস্তার উড়ন্ত ধুলার আস্তরে। ধুলার চাপে কষ্টে বেড়ে উঠা গাছ গুলোতে গত দুবছর ধরে মুকুল আসতে শুরু করলেও, এবছর প্রায় প্রতিটি গাছে ধুলা ভেদ করে বের হতে শুরু করেছে মুকুল।
[৪] জানা যায় ২০১৭ সালে এসব গাছের চারা গাছ রোপন করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সারা রাউজানে ৪ লাখ ৮৫ হাজার গাছের চারা রোপন আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই সড়কেও আমের চারা রোপন করা হয়েছিল।
[৫] স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শহীদ জাফর সড়কের শেষ প্রান্তের বৃক্ষবানুপুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। এসব ভাটায় প্রতিদিন ইট কাঠ নিয়ে আসা যাওয়া করে শত শত ছোট বড় গাড়ি। এসব গাড়ির চাকার চাপে সৃষ্ট উড়ন্ত ধুলায় আশেপাশের গাছপালাসহ রাস্তার পথচারীদের শরীর ঢেকে যায়।
[৬] সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, এই সড়কটি উন্নয়নে কাজ করছে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন শ্রেণির গাড়ির চাপে ধুলারমাত্রা দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান উড়ন্ত ধুলা নিয়ন্ত্রণে এই এলাকায় রাস্তায় পানি ছিটাচ্ছে না। যদিও এই ধরণের রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মানুষের ভোগান্তি কমাতে উন্নয়ন আওতাভুক্ত রাস্তায় পানি ছিঁটিয়ে থাকে।
[৭] এই সড়ক পথের গাছে গাছে আমের মুকুলের ভবিষৎ নিয়ে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, এই মুকুল থেকে ফলন পেতে হলে সবগাছ ধুলামুক্ত করতে হবে। বিষয়টি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, গাছ গুলোর অবস্থা দেখে রাস্তায় ধুলা সৃষ্টিকারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য একবার পুলিশও পাঠানো হয়েছিল।