সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: [২] রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতেও মাছ বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছে ব্যবসায়িরা। গলদা ও বাগদা চিংড়ির দাম অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ঘের মালিকরা। তাই সরকার ঘোষিত প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ মৌকুফের দাবি জানিয়েছেন চিংড়ী চাষিরা।
[৩] জেলার মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় ছোট-বড় ৮৮ হাজার ৭৯ হেক্টর জমিতে এবার গলদা ও বাগদা চিংড়ী চাষ হয়েছে। গত বছর জেলায় চিংড়ির উৎপাদন হয়েছিল ৩১হাজার মেট্রিক টন।
[৪] এবছর চিংড়ি উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার মেট্রিক টন। চিংড়ির উৎপাদন এবার ভাল হয়েছিল। তবে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছে সাতক্ষীরার চিংড়ী শিল্প। বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে দেশীয় ফ্রিজিং কারখানা গুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতে চিংড়ী বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছেনা। এর ফলে অস্বাভাবিক হারে গলদা ও বাগদা চিংড়ী মাছের দরপতন হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ঘের মালিকদের। তার উপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেসে গেছে জেলার ১৩ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির চিংড়ি ঘের। এছাড়া ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির মৎস্য খামারের ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা।
[৫] প্রান্তিক চাষীরা জানান, এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তাই ব্যাংক ঋণ ও সমিতির কিস্তি নিয়ে তারা রয়েছেন খুবই দুঃশ্চিন্তায়। এমতাবস্থায় দেশের এই বৃহৎ অর্থনৈতিক খ্যাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারী ভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। চিংড়ী মাছের পাশাপাশি ভেটকি, টেংড়া, পারসে, তেলাপিয়াসহ সব ধরনের সাদা মাছের বাজার মূল্যে ধস নেমেছে।
[৬] জেলা চিংড়ি চাষী সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব ডা.আবুল কালাম বাবলা জানান, সরকার ঘোষিত প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংক সুদ মৌকুফের দাবি চিংড়ী চাষিদের।
[৭] মৎস্য অফিসার মশিউর রহমান জানান, করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ী চাষীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সুদমুক্ত ঋণের জন্য সর্বচ্চ পর্যায়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
[৮] জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ী চাষীদের দ্রুত ডাটাবেজ তৈরি করে সুদ মৌকুফ ও চিংড়ীর ফ্রোজেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :