দেবদুলাল মুন্না: [২] তিনি বলেন, দেশটিতে করোনাভাইরাসের নতুন ও পুরাতন ধরনের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের তুলনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গবেষণা করে এমনটিই বলছে বিশ্লেষকরা। ফলে শুধু সংক্রমণের দিক থেকেই নয়, বরং মৃত্যুহারও বাড়তে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ড ও লন্ডনে করোনার যে নতুন রূপ ছড়িয়েছে গবেষণায় উঠে এসেছে, এটি আরও বেশি প্রাণঘাতীও। অর্থাৎ করোনার এই ধরণের মৃত্যুহারও বেশি হতে পারে। গতকাল ডাউনিং স্ট্রিটে এক ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এসব কথা বলেন। বিবিসি অনলাইন ও গার্ডিয়ান।
[৩]যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের এই বদলে যাওয়া ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। নভেম্বরে দেখা গেল লন্ডনে যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের এক চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের নতুন ওই ধরনটি দায়ী। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে সেই অনুপাত দাঁড়ায় দুই তৃতীয়াংশে।
[৪] নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর যুক্তরাজ্যে মৃত্যুহারও বেড়েছে। শুক্রবার সেখানে মারা গেছে ১ হাজার ৪০১ জন। তাতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৫ হাজার ৯৮১। যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
[৫] সায়েন্স জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরনের করোনা। ডব্লিওএইচও-এর মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়ানো নতুন ধরনের করোনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের করোনার মিল রয়েছে। এটি খুবই সংক্রামক।