শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টিসিবির পেঁয়াজ আছে বলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারছেন না, বললেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান

সমীরণ রায়: [২] ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান পি.এস.সি আরও বলেন, দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ প্রয়োজন হয়। দেশে যে পেয়াজ উৎপাদন হয়, তা দিয়ে ৭ মাস চালানো সম্ভব। আরও ৫ মাস চালাতে হলে অবশ্যই পেয়াজ আমদানি করতে হবে। গত ২০১৯ সালে যেখানে পেঁয়াজের কেজি ছিল ২০০টাকা। টিসিবি যদি ৩০টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি করে তাহলে প্রতিদিন জনগণের ১০২ কোটি টাকার বেশি বেচে যায়। ফলে ৫ মাসে টিসিবি পেঁয়াজ সরবরাহ করায় ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বেচে যাচ্ছে। তবে এবছর টিসিবির সব ধরণের পদক্ষেপ রয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

[৩] তিনি বলেন, টিসিবি পেঁয়াজ আমদানি না করলে এই সুযোগ কিছু ব্যবসায়ীরা নেন। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় টিসিবি পেঁয়াজ সরবরাহ করছে। এতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ বন্ধ করে দেয়। তখন টিসিবি পেঁয়াজ নিয়ে মাঠে না থাকলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতো। আমরা পেঁয়াজগুলো সরবারহ করছি বলেই দাম কম।

[৪] ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মিডিয়া মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গত সেপ্টম্বর থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন বিক্রি করা হবে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে পেঁয়াজ উঠে সেটি দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। ফলে পেয়াজ আমদানির বিকল্প নেই। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের যে দাম বাড়ার কারণ টিসিবি মাঠে ছিলো না। হঠাৎ করে টিসিবিকে পেঁয়াজ সরবারহের নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে দামটাও বেড়ে যায়। এরপর থেকে টিসিবি মাঠে নামার কারণেই পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

[৫] তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী এ বছর পেঁয়াজ জমিয়ে রেখে পরবর্তীতে লস দিয়ে বিক্রি করে। এছাড়াও টিসিবি বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ সরবরাহের কারণে দাম পড়ে যাওয়ায় কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানি করে এখন আর বন্দর থেকে খালাস করছে না।

[৬] তিনি আরও বলেন, সারাদেশে টিসিবির ২৫০০ ডিলার রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই সারাদেশে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনলাইনে ১৮টি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ বিক্রি করছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য চাল ডাল ডটকম, স্বপ্ন, যাচাই, সবজি বাজার ও মীম গ্রোচারী।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়