মঈন উদ্দীন: [২] ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলা। এটি চলতি মৌসুমের ৩য় দফা ঘন কুয়াশা। তাপমাত্রা আরও কমে গেছে। বিশেষ করে যেসব শ্রমজীবী মানুষ খুব ভোরে কাজের সন্ধানে বের হন তারা পড়েছেন বেকায়দায়। ভোর থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকার কারণে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
[৩] রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
[৪] শুক্রবার রাজশাহীর তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাত্র শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
[৫] জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই কিছুটা ঠান্ডা পড়তে শুরু করে রাজশাহীতে। মাঝখানে কয়েকদিন শীত না থাকলেও জানুয়ারির ৩/৪ তারিখ থেকেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত পড়ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে।
[৬] শুক্রবার ভোরে এর পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে রাজশাহী। এ কারণে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। কারণ দূর থেকে রাস্তা ভালভাবে দেখা যাচ্ছেনা ।
[৭] রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, শহরে তাদের অফিসে তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মাত্র শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি ওপরে রেকর্ড করা হলেও গ্রামে তাপমাত্রা এর চেয়েও কম হবে। সাধারণত এ রকমই হয়। তবে গ্রামাঞ্চলে তাদের তাপমাত্রা রেকর্ড করার কোনো ব্যবস্থা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :