সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বহুধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা উচিত। দেশবিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা নস্যাৎ করার অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এই অপশক্তি গণতন্ত্র, প্রগতি ও উন্নয়নের প্রধানতম প্রতিবন্ধক। মুক্তিযোদ্ধারা দৃশ্যত বিভক্তির মধ্যে আছে, এ বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও চেতনাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে এগিয়ে চলছে দেশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রে লিপ্ত সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
[৪] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি বারবার প্রতারণা ও চাতুর্যের আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের চাতুর্য আছে। কিন্তু নৈতিকতা নেই। জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবার সৎ সাহস এবং রাজনৈতিক অবস্থানও নেই। বিএনপি নেতারা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে চিরাচরিত মিথ্যাচারের রেকর্ড বাজাচ্ছে, তারা শীতনিন্দ্রায় রয়েছে।
[৫] ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃতীয় ও ৪র্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাদের অবিলম্বে সরে দাঁড়াতে হবে। দলের স্বার্থে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে নৌকার প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। যারা বিদ্রোহ প্রার্থী হয়েছেন, তাদের আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই রাজনীতি করতে হবে।
[৬] মঙ্গলবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।