কামরুল ইসলাম বাবু: [২] চট্টগ্রামের রাউজানে গশ্চি গ্রামে নিভৃত পল্লীতে কিছু তরুণ উদ্যোক্তার গড়ে তুলে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ। দেশের সম্ভাবনাময় এই বায়োফ্লক প্রদ্ধতে মাছ চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কমখরচে অল্প জায়গায় বিপুল পরিমাণ মাছ চাষ করা যাই বলে অনেক শিক্ষিত তরুণ এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে বিনিয়োগ করছে।
[৩] রাউজানে প্রয়াস নামে গড়ে উঠা চার তরুণ উদ্যোক্তা বছর খানেক আগে শুরু করে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ। প্রয়াসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিব দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে জানায়, ছোট পরিসরে পরিক্ষামূলক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করলেও এখন বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ১০ হাজার লিটারের একটি ট্যাংক থেকে প্রতি চার মাস পর পর ৪শত কেজি তালাপিয়া মাছ বিক্রি করতে সক্ষম। যার প্রতি কেজিতে খরচ পরে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। অন্য ট্যাংকে দেশি মাগুরও একই খরচে ৪/৫মাস পর ৩শত থেকে ৪শত কেজি মাছ বিক্রি করা যায়।
[৪] তিনি আরও জানান- একটি দশ ফুট বাই দশ ফুটের একটি ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংক তৈরী করতে খরচ পরে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। পানিতে অক্সিজেন প্রবাহ ও সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রসহ বায়োফ্লক পদ্ধতির সম্পর্কে সম্মুখ জ্ঞান নিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। না হয় এ পদ্ধতিতে সুফল আসবে না।
[৫] প্রয়াসের পরিচাক মাসুদ জানায়, দেশে যেভাবে পুকুর ডুবা ভরাট হচ্ছে ভবিষতে দেশীয় প্রজাতির কই, শিং, পাদ্মা, মাগুর, টেংরা ইত্যাদি মাছ গুলো রক্ষায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ জনপ্রিয় হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী