রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দুবাই, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ইউরোপ সহ একাধিক দেশে টিকা দিচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক। ভারতেও জরুরি ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছিল ফাইজার। কিন্তু খুব ঠান্ডায় টিকা সংরক্ষণের অসুবিধা, কিছু জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় বলছে আগে ফাইজারের টিকার ট্রায়াল হোক। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[২] সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলার টিকার মতো সুরক্ষা ও নিরাপত্তা যাচাই করেই ফাইজারকে টিকাকরণের অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে, ফাইজারের ভ্যাকসিন অনুমোদন করায় বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুবিধা হবে। তারাও ওই ভ্যাকসিন অনুমোদন ও আমদানি করতে পারবে। ইউনিসেফ ও প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থাও এবার দ্রুত ওই ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারবে।
[৪] রাশিয়ার স্পুটনিক টিকার ট্রায়াল শুরুর পর এর ফলাফল হায়দ্রাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ফাইজারের টিকার ডোজ কেমন প্রভাব ফেলছে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে তা জানার পরেই অনুমোদন দেবে ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটি। সে জন্য টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টও জমা দিতে হয়।
[৫] যে কোনও ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৬-৪৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। কিন্তু ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা -৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়। এত কম তাপমাত্রা তৈরি করতে হলে কোল্ড স্টোরেজের উন্নত অবকাঠামো দরকার। সে ব্যবস্থা এই মুহূর্তে ভারতে নেই। আর এত তাড়াতাড়ি ভারতের সব রাজ্যে এমন কোল্ড-চেইন তৈরি সম্ভব নয়।