তাবাসসুম সুইটি: [২] বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে মায়ানমার সরকার নাগরিকদের চলাফেরার উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে, কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এই সীমারেখা আরও অনেক বেশি। রোহিঙ্গারা যে দেশে জন্মগ্রহণ করেছে ও জীবন কাটিয়েছে সেই দেশে অনুমতিবিহীন ঘোরার অভিযোগে জানুয়ারির ৬ তারিখ ৯৯ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে ইয়াঙ্গুন পুলিশ।
[৩] দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সরকারি বাহিনীর নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করে, ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা দিয়ে তাদের চলাফেরার অধিকার খর্ব করছে মিয়ানমার সরকার। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, এই গ্রেপ্তার আসলে চলমান নীপিড়নেরই অংশ।
[৪] গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গাদের ইয়াঙ্গুনের উপকণ্ঠে আটক করে রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাদের ফৌজদারী দণ্ডবিধির অধীনে অভিবাসন আইনে শাস্তি দেওয়া হবে।
[৫] মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্প ও গ্রামে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা চলাফেরার স্বাধীনতা, পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ছাড়া জীবন যাপন করছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চালানো জাতিগত নির্মূলকরণ অভিযানকে জাতিসংঘ মানবতাবিরোধী অভিযান হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল
আপনার মতামত লিখুন :