শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:০০ দুপুর
আপডেট : ০৯ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমিনুল ইসলাম : প্রায় বিনা বাধায় ‘ক্যাপিটলে’ হলে প্রবেশ কি কোনো ব্ল্যাক আমেরিকানের পক্ষে করা সম্ভব ছিলো?

আমিনুল ইসলাম : এক দল ট্রাম্প সমর্থক বিনা বাঁধায় ‘ক্যাপিটলে’ প্রবেশ করেছে। যেখানে আমেরিকার আইন প্রণেতারা ঠিক ওই মুহূর্তে অবস্থান করছিলো এবং বিতর্ক করছিলো। আমরা সরাসরি দেখলাম হঠাৎ করে শয়ে শয়ে ট্রাম্প সমর্থক কোনো রকম বাঁধা ছাড়াই হাউজে ঢুকে গেলো। পুরো হাউজ দখল করে নিলো। এমনকি মাইনরিটি লিডার-নেন্সি পোলোসির অফিসে ঢুকে সবকিছু ভেঙে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই একই কাজ কি কোনো ব্ল্যাক আমেরিকানের পক্ষে করা সম্ভব ছিলো? কেবল চিন্তা করে দেখুন তো শত শত ব্ল্যাক আমেরিকান মিছিলো করে আমেরিকার সংসদ ভবনে ঢুকার চেষ্টা করছে এবং বিনা বাঁধায় ঢুকে গিয়েছে। নাকি ওই ভবনের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের উপর গুলি চালানো হতো? কিছু অপরিষ্কার,ময়লা এবং অসভ্য ব্ল্যাক আমেরিকান সংসদ ভবন দখল করতে চাইছে, তাদের উপর তো গুলি চালানো যাই এই বলে হয়তো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালিয়ে দিত। অথচ কী মহা আনন্দেই না শত শত প্রাউড ট্রাম্প সমর্থক হাউজ দখল করে নিলো। শুধু সেটাই না, যাবার সময় দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বের হচ্ছে, সেই দৃশ্যও আমাদের দেখতে হয়েছে। তাদের কাউকে এমনকি গ্রেফতারও করা হয়নি। অনেকেই বিনা বাঁধায় নিজ গৃহে ফেরত গিয়েছে। আমি স্রেফ দৃশ্যটা কল্পনা করার চেষ্টা করছি। ট্রাম্প সমর্থকের জায়গায় কাল যদি কিছু ‘ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার’ সমর্থক থাকতো, তখন পরিস্থিতি আসলে কি হতো? আমর ভাবতেই অবাক লাগে উপনিবেশিক আমল অনেক আগে শেষ হয়েছে। অথচ একদল মানুষ স্রেফ গায়ের রঙের কারণে এই গ্রহে হাজারটা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে জ্ঞানী মনে করি। তাদেরকে আমরা গুণী মনে করি। তাদের আমরা সভ্য মনে করি, আমরা ধরেই নিই হোয়াইট মানেই সভ্য, ভদ্র এবং জ্ঞানী। কারণ কি সেটা জানেন তো? উত্তর হচ্ছে ‘কলোনিয়ালিটি অব পাওয়ার’ আমরা যা শিখছি, আমরা যা জানি, যেসব ন্যারেটিভ আমাদের শেখানো হয় সেগুলো আসলে কই থেকে আসছে?
কিছু সাদা চামড়ার মানুষ আমাদের বলে দিচ্ছে এটা ভালো, ওইটা মন্দ। সেই সঙ্গে এটাও বলে দিচ্ছে- এসব কোনোকিছুর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করা যাবে না। আমরাও সেটা মেনে নিচ্ছি। শুধু একটা উদাহরণ দিই।

বাংলাদেশ একটি গরম প্রধান দেশ। গ্রীষ্ম,বর্ষা কালে আমাদের দেশের তাপমাত্রা সব সময়ই ৩০ ডিগ্রির উপরে থাকে। এই তাপমাত্রায় কেন আমাদের সভ্য দেখানো জন্য কোট-প্যান্ট, টাই পড়ে বসে থাকতে হবে? কে আমাদের শিখিয়েছে কোট-প্যান্ট, টাই না পড়লে ফর্মাল মনে হয় না। সভ্য মনে হয় না? এই তাপমাত্রায় কি আমাদের এসব ড্রেস পড়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা? তো, কে আমাদের শিখিয়েছে এটা? কেন আমরা এই প্রশ্ন করি না? কারণ কিছু সাদা চামড়ার মানুষ হাজার মাইল দূর থেকে আমাদের ওখানে গিয়ে বলেছে এটা ভালো, ওইটা খারাপ। এটা করা যাবে, ওইটা করা যাবে না। আমরাও সেটা মেনে নিয়েছি। উপনিবেশিক শাসকরা অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। কিন্তু উপনিবেসিকতা এখনও যায়নি। এর উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে, আমেরিকায় ঘটে যাওয়া... একদল ট্রাম্প সমর্থক বিনা বাঁধায় হাউজ দখল করে নিয়েছে আর সবাই চেয়ে চেয়ে সেটা দেখেছে। কারণ এই সমর্থকরা হোয়াইট এবং তারা বিশ্বাস করে সাদা চামড়ার মানুষ মাত্রই শ্রেষ্ঠ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়