শাহনাজ পারভীন: [২] চরে একসময় শুধু বোরো ধানের আবাদ হতো। এখন ধানের পাশাপাশ সবজির আবাদ করে কৃষকরা দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। মাসের পর মাস কাউনের ভাত খেয়ে কাটানো মানুষগুলো এখন সঞ্চয়ের স্বপ্নও দেখেন।
[৩] জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় ৪ শতাধিক চর রয়েছে। চরাঞ্চলের ৪৬ হাজার ৪শ’ ২৮ হেক্টর জমির মধ্যে ৩৫ হাজার ৮৭ হেক্টর এখন চাষের আওতায়। ফসল-তালিকায় সবজি যোগ হওয়ার পর গত ৫ বছরে ক্রমাগত বাড়ছে উৎপাদন ও লাভের পরিমাণ।
[৪] চরগুলোতে এখন ভুট্টা, গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, টমেটো, মশুর ডাল, খেসারি ডাল, মুগ ডাল, মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, লাউ ও অন্যান্য শাক-সবজি চাষ করছেন ৪ শতাধিক কৃষক।
[৫] সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আলগার চরের কৃষক শাহ আলম শেখ ও শমসের আলী জানান, সাফল্যের বড়ো একটি কারণ উন্নত বীজ। আরেকটি হচ্ছে সেচ সুবিধা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও তদারকি কৃষকদের অনুপ্রাণিত করছে।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক জানান, এ বছর ১ লাখ ১৯ হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান, সালেহ্ বিপ্লব