শরীফ শাওন: [২] একই সময়ে দেশের চল্লিশ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় চলে গেছে। এই অসমতা মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও সমতার ঘোষণাকে অসার প্রমাণিত করেছে। সরকার এই ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কথা স্বীকার না করলেও, এই বাস্তবতা দেশকে এক বিপদজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে বললেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।
[৩] শুক্রবার দলিয় সভায় তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অসমতা দূর করতে সরকারের অর্থনৈতিক নীতির পরিবর্তন করতে হবে। নয়াউদারনীতিবাদী অর্থনৈতিক নীতি থেকে সাম্যবিধানের নীতিতে ফেরত আসতে হবে। অন্যথায় সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যাবে না, দেশ নৈরাজ্যের গহ্বরে পতিত হবে।
[৪] মেনন বলেন, করোনায় সংক্রমণের হার কমেছে, ভ্যকসিনের অনিশ্চয়তা দূর হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। নিজ দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়াল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিজ দেশের উদ্ভাবনকে সহায়তা না করে ব্যবসায়িক স্বার্থকে জনস্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
[৫] শুধু করোনা মোকাবেলা নয়, জনগণের স্বার্থে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্নীতি, লুটপাট ও অব্যবস্থা থেকে বের হয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।