জুয়েল বড়ুয়া: [২] দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হাজার হাজার টন পেঁয়াজ খালাস নিচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আমদানির পর খালাস নেওয়ার নির্ধারিত ৪৫ দিন পার হলে এসব পেঁয়াজ নিলামে তোলা হবে।
[৩] প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের বন্দরে পড়ে আছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসব পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে দাম পড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি কিন্তু বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি। ফলে বড় অংকের লোকসান এড়াতে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ খালাস নিচ্ছেন না।
[৪] চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি এবং সংকট তৈরি হওয়ার পর গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে আরও প্রায় ২৪ হাজার টন পেঁয়াজ। প্রায় একমাস ধরে এসব পেঁয়াজ বন্দরে পড়ে থাকলেও আমদানিকারকরা সেগুলো খালাস নিচ্ছেন না। পেঁয়াজের চালান খালাস নিতে আমদানিকারকদের দাপ্তরিক চিঠি দিয়েও সাড়া মিলছে না।
[৫] বন্দর সচিব বলেন, আমদানির পর খালাস নেওয়ার জন্য ৪৫ দিন সময় পান আমদানিকারক। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের চালান খালাস না নিলে নিয়ম অনুযায়ী এসব পেঁয়াজ নিলামে তুলবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
[৬] চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মিয়া মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, বাজারে পেঁয়াজে বড় দর পতন হওয়ায় আমদানিকারকরা বন্দর থেকে পেঁয়াজের চালান খালাস করছেন না। বন্দরে থাকা পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে কেজি প্রতি দাম পড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। কিন্তু এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় এই দাম আরও কমে যেতে পারে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা খালাস করছেন না। সম্পাদনা: হ্যাপি