ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে ২ সন্তানের জননী এক গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গোপনে শালিসের আয়োজন করা হয়।
[৩] উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের সাবেক এক সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য বলেন, তার প্রতিবন্ধি মেয়ে অসুস্থ হওয়ার কারণে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অসুস্থতার কথা শুনে শুক্রবার তার মেয়েকে দেখতে আসে আত্বীয় মধুখালী উপজেলার ২ সন্তানের জননী এক গৃহবধু। সে হাসপাতালেই অবস্থান করে। রাত ১২টার হাসপাতালের বাইরে টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে হাসপাতাল গেইটের মুদিদোকানী তাকে দোকানের মধ্যে বসতে বলে। একপর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলে দোকানের মধ্যেই নিয়ে জোরকরে তাকে ধর্ষণ করে। আবার পাশের আরেক দোকানী মিলে ২বার ওই গৃহবধুকে দুইবার ধর্ষণ করে। মহিলা হাসপাতালে সে এসে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে আমি ওই দোকানীদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে সে ভুল স্বীকার করে। আমি মান সম্মান ও ইজ্জতের ভয়ে ওই গৃহবধুকে হাসপাতাল থেকে ভোরে মধুখালীর বাড়ীতে পাঠিয়ে দিলে তাকে পুনরায় ২ দোকানী মিলে বালিয়াকান্দি চন্দনা ব্রীজের উপর তাকে ধরে হেনস্থা করলে আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে গিয়ে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে ভ্যান ঠিক করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেই। তারপর থেকেই বিভিন্ন লোকজন বিষয়টি টের পায়। এ নিয়ে শনিবার রাতে স্থানীয়দের সমন্বয়ে এক শালিসী বৈঠক হয়। ওই শালিসে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। তবে ওই মেয়েকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। রোববার হাসপাতাল থেকে আমার মেয়ের নাম কেটে দিলে তাকে বাড়ীতে নিয়ে যাই। আমাকে এখন বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদর্শন করছে। থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
[৪] তিনি আরো বলেন, ওই গৃহবধু উল্টো আমাকেই নানা ধরণের কথা বলছে, সে কোথায় আছে তাও বলছে না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের কথা বলছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
[৫] এক শালিসদার বলেন, শালিসে ভূল স্বীকার করে ধর্ষণের কথা স্বীকার করায় দু’পক্ষের সম্মতিতে ৬৫হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বাকী টাকা আজ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে আর দেয়নি।
[৬] অভিযুক্ত আজিবর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে ফোন রিসিপ করলে পরিচয় জানার পর কেটে দেয়।
[৭] এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুজ্জামান বলেন, থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি