ইমরুল শাহেদ: তিনি কোভিড মহামারীর ভয়ে ভীত হয়ে ঘরে বসে থাকেননি। লকডাউন প্রত্যাহার হওয়ার পরপরই যখন নির্মাতারা মাঠে ফিরেন শর্মী ইসলাম তখনই তাদের সঙ্গে কাজে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকেই আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। কোনো কাজকেই ছোট করে দেখিনি। আমি একজন শিল্পী এবং শিল্পী হিসেবে পরিশ্রম করার এটাই আমার জন্য উপযুক্ত সময়।’ নাটক, ধারাবাহিক নাটক, টেলিফিল্ম, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মিউজিক্যাল ফিল্ম, টিভিসি, ওভিসি, তথ্যচিত্র - অর্থাৎ মিডিয়া সংশ্লিষ্ট কোনো কাজকেই তিনি অবহেলা করেননি। ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলতে নেই সমীকরণে মহামারীও তাকে ঠেকাতে পারেনি। বর্তমানে তিনি চারটি সরকারি নাটক ও দুইটি তথ্যচিত্রে কাজ করছেন। শর্মী ইসলাম জানান, গত এক বছরে মহামারী থাকা সত্ত্বেও ১২টি নাটক, ৩০টি সল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র, ১৫টি মিউজিক্যাল ফিল্ম/মিউজিক ভিডিও, ২টি বিজ্ঞাপনচিত্র, ৫টি ওবিসি, ১টি ওয়েব সিনেমা, ২টি আর্টফিল্ম, ধারাবাহিক নাটক ৩টি, বাংলা টিভি ও বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান করেছেন ৪টি। এছাড়া শাড়ি,গয়না, পোশাকের ফটোশুটের সংখ্যাও কম নয়। তিনি বলেন, ‘আমি ২০২১ সালেও অনেক অনেক কাজ দর্শককে উপহার দিতে চাই।’
বিদায়ী বছর এবং সহকর্মীদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘মিডিয়া জগতের অনেকেই আমাকে স্নেহ করে, ভালোবাসে, আমার জন্য শুভ কামনা করে। আমার সহকর্মীরা, পরিচালকেরা, প্রযোজকেরা এবং কিছু সিনিয়র সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে সব সময়ই আমাকে প্রতিটি মুহূর্তে উৎসাহ দেয়, সাহস দেয়, পুরোটা সময় শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরামর্শ দেয়। তাদের শুভ কামনা এবং স্নেহ-ভালোবাসাই আমার চলার পথে প্রতি নিয়ত সাহস যোগায়।’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শর্মী ইসলাম বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রেও কাজ করব। সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। পারফর্মিং আর্টের অলিগলিতে পদচারণার মধ্য দিয়ে নিজেকে একটু ঝালাইও করে নিচ্ছি, যাতে চলচ্চিত্রে গেলে ব্যর্থতা আমাকে স্পর্শ করতে না পারে। অর্থাৎ অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ হতে চাই না।’
আপনার মতামত লিখুন :