আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বের করে আনার প্রতিজ্ঞা করে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন রাজনীতিবীদ নাইজেল ফারাজে। তরুণ সাংবাদিক বরিস জনসন এই প্রস্তাবের পক্ষে কলাম লিখে হয়েছিলেন নিন্দিত। নিন্দার জবাব দিতেই রাজনীতি শুরু করে রীতিমতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান তিনি। টানাপোড়েন আর অচলাবস্তার পর অবশেষে একটি বাণিজ্যচুক্তিকে সঙ্গে নিয়েই নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ইউরোপ ছাড়লো লন্ডন। দ্য গার্ডিয়ান
[৪] নতুন বছর শুরু হতেই শেষ হলো যুক্তরাজ্যের ট্রানজিশন পিরিয়ড। লেখা হলো যুক্তরাজ্যের নতুন ইতিহাস। প্রায় ৫ দশক ইউরোপীয় বøকটির অংশ ছিলো লন্ডন। এখন তাদের পথ ভিন্ন। প্রাচীনপন্থী ব্রিটিশদের নিজেদের ইউরোপের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর প্রমাণ করার পথটি কেবল শুরু হলো। বিবিসি
[৫] দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রথম কলম ধরা এককালের তরুণ সাংবাদিক বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য হবে একটি মুক্ত, ভদ্র, বর্হিমুখী, আন্তর্জাতিকবাদী এবং মুক্ত বাণিজ্যের দেশ। তারা এসব করবে ভিন্নভাবে, পুরোপুরি নিজস্ব স্টাইলে। তা হবে ইউরোপের চেয়েও ভালো। সিএনএন
[৬] নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা এখন স্বাধীন। যা ইচ্ছে তাই করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’ ডেইলি মেইল
[৭] ২০১৬ সালে একটি গণভোটের মাধ্যমে ব্রিটিশ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয়। থেরেসা মে আর বরিস জনসনকে ছোট দেখাতে গিয়ে এই গণভোট আয়োজন করা প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন নিজেই হতভম্ভ হয়ে পদত্যাগ করেন। ব্রেক্সিট কার্যকর করতে যুক্তরাজ্য ৪ বছরে ৩ প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, সাথারণ নির্বাচন হয়েছে ৩ বার, টোরি পার্টি নেতা বদলেছে ২ বার এবং গণভোট হয়েছে একটি। দ্য স্টার