লিহান লিমা: [২] আতশবাজি, বর্ণিল আলো, শতশত মানুষের উচ্ছ্বাস-আনন্দের চিরায়ত দৃশ্যপটকে সম্পূর্ণরুপে বদলে দিয়ে ২০২১ সালের প্রথম মুহুর্ত পালিত হচ্ছে লকডাউন, নিরাপত্তা, কঠোর নিয়ম-কানুন ও বিধিনিষেধে। করোনার নতুন সংক্রমণ ছড়াতে নিউইয়র্ক থেকে সিডনী সবখানেই আতশবাজি প্রদর্শনী ও জনসমাগত হতে পারে এমন সব অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়। বিবিসি/এপি/দ্য গার্ডিয়ান
[৩] ফ্রান্স নতুন বছর উপলক্ষ্যে যে কোনো জনসমাগম রুখতে ১ লাখ পুলিশ মোতায়েন করেছে, জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
[৪] ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জনসাধারণকে নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়েছেন। জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে থেকেই সীমিতভাবে উৎসব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লন্ডন পুলিশ বিশেষ সতর্কতাা জারি করেছে।
[৫] আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউনে থাকা জার্মানিও আতশবাজি নিষিদ্ধ করাসহ অন্যান্য বিধি-নিষেধ কছোর করেছে। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নেদারল্যান্ড ও ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তুরস্কে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
[৬] বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় সবার আগে বাজতো নতুন বছরের ঘণ্টা। সিডনির সেই ঐতিহাসিক আতশবাজি এবারও অব্যাহত থাকলেও এটি উপভোগ করতে জনসাধারণকে ভিড় করার অনুমতি দেয়া হয় নি। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার গ্লাডি বেরেজিলক্লাইন বলেন, ‘আমরা চাইনা নতুন বছরের প্রথম দিন ভাইরাসের সুপার- স্প্রেডার ইভেন্ট হোক।’
[৭] যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে মধ্যরাতের ঐতিহাসিক কাউন্টডাউন অব্যাহত থাকলেও এই এলাকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় নি।
[৮] চীনে সরকারীভাবে আয়োজিত বার্ষিক আলোক শোভাযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে। বেইজিংসহ দেশটির অন্যান্য শহরে উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
[৯] জাপানে ঐতিহ্যবাহী নতুন বছরের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। অন্যান্য বছর এই দিনে সম্রাট নারুহিতো ও রাজপরিবারের অন্যান্যরা জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
[১০]ভারতে দিল্লি, কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞারোপ করা হয়েছে।
[১১] তবে পূর্বেই কঠোর লকডাউন ও সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে করোনার সংক্রমণকে বশে নিয়ে আসা নিউজিল্যান্ডে অন্যান্য বারের মতোই চলছে নতুন বছর উদযাপনের উৎসব।