দেবদুলাল মুন্না:[২] সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরোপে তাদের ৪৩০টি ফুড ব্যাংকে প্রায় ৩০ শতাংশ চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাপূর্ব সময়ের তুলনায় দেশভেদে এই চাহিদা বৃদ্ধির পরিমাণ ৬ থেকে ৯০ শতাংশ। এফইবিএ’র সভাপতি জ্যাক ভ্যান্ডেনশ্রিক বলেন, সহায়তা কর্মসূচিতে অনেক সময় ইইউ দেশগুলোকে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরলেও বেশ কিছু সরকারের রেখে যাওয়া খাদ্য ফুড ব্যাংকগুলোকে পূরণ করতে হচ্ছে। সূত্র: স্টেটওয়াচ ও কাউন্টার পাঞ্চ
[৩] ফরাসি ফুড ব্যাংক রেস্তোঁ দু কোয়েরের সভাপতি প্যাট্রিস ব্ল্যাঙ্ক বলেন, মহামারীর কারণে ফ্রান্সে ক্ষুধার স্রোত শুরু হওয়ায় চলতি বছর তাদের ফুড ব্যাংকের চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
[৪] অনেকটা একই কথা বলেছেন জার্মান ফুড ব্যাংক তাফেল ডয়েচল্যান্ডের চেয়ারম্যান জোশেন ব্রল। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেও তার সংস্থা অন্তত ১৬ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
[৫] ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। অঞ্চলটিতে টিকাদান শুরু হওয়ায় আশার সঞ্চার হলেও নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ক্ষুধা। ‘ফার্স্ট লাভ ফাউন্ডেশন’ নামের লন্ডনভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। খাবারের পাশাপাশি দরিদ্রদের আবাসন এবং আইনি সহায়তা দেওয়া প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কেবল যুক্তরাজ্যেই মহামারীর প্রথম পর্যায়ে তাদের খাদ্য সহায়তার চাহিদা ৯২৫ শতাংশ বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :