সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির রাজনীতি কচ্ছপের মতো। তারা একবার মাথা বের করে, পরক্ষনেই আবার লুকিয়ে নেয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বাধাগ্রস্ত করতে ও গনতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই দেশে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
[৩] বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না। বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন-আদালতকে ঘিরে। তারা মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে।
[৪] তিনি বলেন, সরকার বিএপিকে শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখতে চায়। দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায় তারা স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় রাজনীতি করুক। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে।
[৫] তিনি আরও বলেন, একদলীয় কোনো চর্চা সরকারের কাজে ও মনস্তত্বে নেই। সরকার জনগণের ক্ষমাতায়নে বিশ্বাসী। জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাস নির্ভরতা যাদের আন্দোলনের চালিকাশক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ আর সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়। প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়।
[৬] রোববার তার সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :