ইফতেখার আলম: [২] রাজশাহী নগরীতে ছিনতাই হওয়া দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
[৩] ভাইয়ের ১৭টি সোনার বার আত্মসাত করতেই জিতেন ধর ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দক্ষ অনুসন্ধানে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে।
[৪] গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম জিতেন ধর (৪৮)। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জামনগর গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম দ্বীনেশ ধর। পুলিশ জিতেনের কাছ থেকে ১৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে। একটি বার পুঠিয়ার একটি জুয়েলারি দোকানে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
[৫] আরএমপির পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম সিদ্দিক জানান, গ্রেফতার জিতেনের বড় ভাই দ্বিজেন ধর (৫০) ফেনীতে থাকেন। ২১ ডিসেম্বর তিনি ফেনারী দুটি জুয়েলার্স থেকে ১৭টি স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। সেদিন ভোরে তিনি রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভাই জিতেনের বাড়ি আসেন। ভাই জিতেনকে বারগুলো রাখতে দেন। প্রতিটি বারের ওজন ১০ ভরি। মোট ১৭ বারের মূল্য প্রায় এক কোটি ১৯ লাখ লাখ টাকা। জিতেন একজন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি। তিনি এই স্বর্ণের বারগুলো আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন। এ জন্য তিনি বারের পরিবর্তে তিনটি সীসার রড কাগজে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে স্বর্ণের বারের ব্যাগে রেখে দেন। আর আসল বারগুলো নিজের বাড়িতেই রেখে দেন।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছিনতাইয়ের নাটকটি সাজিয়েছিলেন জিতেন। তার পরিকল্পনা মোতাবেক মিজানুর রহমান মিজান ও মৃদুল নামে দুই ব্যক্তি পুঠিয়া থেকেই বাসের পেছনে পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। তারা ব্যাগ ছিনতাইয়ের জন্য শহরে অন্য তিনজনকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রস্তুত রাখেন। জিতেন ও দ্বিজেন বাস থেকে নামলেই সে তথ্য অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেন মিজান ও মৃদুল। এরপরই ব্যাগ কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আসল স্বর্ণগুলো জিতেনের বাড়িতেই ছিল। সেখান থেকে একটি বার জিতেন বিক্রি করে দেন। তাকে গ্রেফতারের সময় বাড়ি থেকে বাকি ১৬টি বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :