শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:০৬ সকাল
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগুনে তছনছ বসনিয়ার শরণার্থী শিবির

ডিডাব্লিউ: বসনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুন। অভিযোগ, বসবাসকারীরাই আগুন লাগিয়েছেন।

প্রায় বারোশ শরণার্থী বাস করছিলেন উত্তর-পশ্চিম বসনিয়ার লিপা শরণার্থী শিবিরে। বুধবার সেই ক্যাম্পে আগুন লেগে যায়। বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, বুধবারই ওই শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী বসনিয়ায় আটকে পড়েছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য তারা রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু বসনিয়ায় পৌঁছানোর পরে তারা আর এগোতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে অধিকাংশ শরণার্থীই জঙ্গলে বসবাস করছিলেন। কেউ কেউ বেছে নিয়েছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শেড অথবা ভাঙা বাড়ি। পরে সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে অধিকার আন্দোলনকারীরা সরব হন। কয়েকটি ক্যাম্প তৈরি করা হয় শরণার্থীদের জন্য। যদিও তা মোট শরণার্থীর তুলনায় নেহাতই অপ্রতুল।

লিপার শিবিরও তেমনই একটি ক্যাম্প ছিল। তৈরির সময়েই বলা হয়েছিল, এই শিবির সাময়িক। বুধবার যে ক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ক্যাম্পে বসবাসকারীরা এই ঠাণ্ডার মধ্যে কোথায় গিয়ে থাকবেন, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ফলে বুধবার ক্যাম্প ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ বসবাসকারীরা সেখানে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

আশ্রয় হারানো এই শরণার্থীরা ইউরোপের প্রবল শীতে ফের জঙ্গলে গিয়ে থাকবেন। বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে আরো বহু আশ্রয়হীন মানুষের সঙ্গে যোগ দেবেন। ভাঙা বাড়ি, কারখানার শেডে দিন কাটাবেন। অভিযোগ, যে শিবিরে তারা ছিলেন, সেখানেও বিদ্যুৎ ছিল না। ব্যবস্থা ছিল না হিটিংয়েরও।

বসনিয়ায় আটকে পড়া শরণার্থীদের এখনো পর্যন্ত আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি ইউরোপের কোনো দেশ। বসনিয়াও স্থায়ী ভাবে এই শরণার্থীদের রাখতে আগ্রহী নয়। যে কারণে, তাদের জন্য কোনো স্থায়ী ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না। শরণার্থীদের অভিযোগ, ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে তাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে সেখানকার পুলিশ। সব মিলিয়ে এই প্রবল শীতে দুর্বিসহ অবস্থা শরণার্থীদের। গ্রন্থনা: ফরহাদ বিন নূর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়